Kasba Law College Gang Rape Case: মনোজিৎ এর আগেও বহু ছাত্রীকে হেনস্থা করেছে। সেই হেনস্থার ভিডিয়োও সে নিজের মোবাইলে তুলে রেখে পরবর্তীতে নিজেও দেখত ও শাগররেদদেরও দেখাত। এমন অভিযোগ আগেই উঠেছে। এবার প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর বয়ান।
পিয়ালি মিত্র: পুলিসের জেরায় প্রমিত ও জঈবের বিস্ফোরক দাবি, পরিকল্পনা করেই ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতন করা হয়। ঘটনার দিন দুয়েক আগে পরিকল্পনা করে মনোজিৎ।
ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়, সে কথা দুদিন আগে নিজের দুই শাগরেদকে জানায় মনোজিৎ।
সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী মনোজিৎ ওই দুজনকে নির্দেশ দেয়, ওই ছাত্রী ফর্ম ফিলাপ করতে এলে তাঁকে কাজের অজুহাত দিয়ে আটকে রাখতে।
জেরায় প্রমিতের দাবি, মনজিৎ -র কথা মতো সে ওই ছাত্রীকে ইউনিয়ন রুমের বাইরে নিয়ে যায়। সে সময় রুমে থেকে ভিতরে বসে থেকে মনোজিৎ ও জায়েব।
“দাদার” কথা শুনে চললে রাজনৈতিক পদ পাবে সেই বিষয়ে ছাত্রীকে বোঝায় প্রমিত। তারপর দুজন ফিরে আসে ইউনিয়ন রুমে।
প্রমিতের দাবি, মনোজিৎ-এর নির্দেশ মতো তারা দুজনের ইউনিয়ন রুমের বাইরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং পরে তার কথা মতোই গেট থেকে ধরে গার্ড রুমে নিয়ে যায়।
তদন্তকারীদের দাবি, পদ পাইয়ে দেওয়া, প্রেমের প্রস্তাব থেকে পদের প্রলোভন দিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে মনোজিৎ।
কিন্তু ছাত্রী তাদের রাজি না হলেও জোর করে যে এই ঘটনা ঘটাবে সে বিষয়ে আগেই স্থির করে রেখেছিল মনোজিৎ।
মনোজিতের ঘনিষ্ঠ মহল, বন্ধুবান্ধব, জুনিয়াররা বলছে, মনোজিতের বিকৃত কামের তৃষ্ণা মেটাতে অনেকেই বাধ্য হতো তাদের সহপাঠী ছাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন অংশের আপত্তিকর ছবি তুলে সেসব মনোজিৎকে দেখাতে।
এমনকি মনোজিৎ নিজেও মহিলাদের নানা অঙ্গের ছবি তুলে মোবাইলে রাখত! ক্লোজড সার্কলে সেইসব আপত্তিকর ছবি-ভিডিয়ো শেয়ার করে মজা নিত।