Operation Mahadev:গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হয়। তার পর থেকেই জঙ্গিদের হন্যে হয়ে খুঁজছে সেনা ও পুলিস। কিন্তু গত ১৪ দিন আগে হঠাত্ই তদন্তকারীদের হাতে একটি ক্ুল চলে আসে
গত ২৮ জুলাই জম্মু ও কাশ্মীরের লিডওয়াসে ভারতীয় সেনার চিনার কর্পের অপারেশন মহাদেব-এ খতম হয় পহলেগাঁও হামলায় মূল চক্রী মুসা ওরফে সুলেইমান। ওই অপারেশনে মৃত্যু হয় মুসার আরও ২ সঙ্গী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ সংসদের বলেছেন, অপারেশন মহাদেব-এ খতম হয়েছে পহেলগাঁও হামলার ৩ জঙ্গি। এরা সবাই পাকিস্তানি। তাদের কাছ থেকে পাক আইডি ও পাকিস্তানে তৈরি চকোলেট পাওয়া গিয়েছে।
লিডওয়াসের ওই অপারেশনের পরই সনাক্ত করা হয়ে হাসিম মুসা ওরফে সুলেইমান ও তার দুই সঙ্গী ইয়াসির ও আবু হামজাকে। তাদের যারা খাবার সরবারহ করেছিল, আশ্রয় দিয়েছিল তারাই চিনিয়ে দেয় তাদের।
কিন্তু কীভাবে ওই ৩ জনকে খুঁজে বের করল সেনা? ধীরে ধীরে তা সামনে আসছে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হয়। তার পর থেকেই জঙ্গিদের হন্যে হয়ে খুঁজছে সেনা ও পুলিস। কিন্তু গত ১৪ দিন আগে হঠাত্ই তদন্তকারীদের হাতে একটি ক্ুল চলে আসে। তারা নজরে আসে একটি বৈসারনের কাছাকাছি একটি এলাকায় একটি রেডিয়ো সক্রিয় বলে দেখতে পান তদন্তকারীরা। জঙ্গিরা একটি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য চিন রেডিয়ো ব্যবহার করছিল। তারই ফ্রিকোয়েন্সি ধরা পড়ে গোয়েন্দাদের নজরদারি যন্ত্রে।
গত ২ দিন আগে ওই রেডিয়োটিকে ফের সক্রিয় হতে দেখা যায়। সেই রেডিয়োকে অনুবসরণ করেই জঙ্গিদের দাচিগ্রামের জঙ্গলে খোঁজ পেয়ে যায় সেনাবাহিনী। পাশাপাশি এলাকার উপজাতি মানুষজনও ওইসব জঙ্গিদের সম্পর্কে খবর দেয়।
জঙ্গিদের উপস্থিতি টের পেয়েই দাচিগ্রাম জঙ্গলের নির্দিষ্ট এলাকা ঘিরে ধরে সেনা ও অন্যান্য বাহিনীর একাধিক ইউনিট। সোমবার ড্রোন উড়িয়ে জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করে সেনা। হাতে ছবি আসার পরপরই মহাদেব পাহাড়ে অপারেশনে নামে রাষ্ট্রিয় রাইফেলস ও প্যারা কমান্ডোরা। সোমবার সাড়ে এগারোটা নাগাদ জঙ্গিদের তাঁবুতে আঘাত হানে নিরাপত্তা বাহিনী। সেইসময় তারা ঘুমাচ্ছিল।