বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়াচ্ছে, করোনার মতো আরও একটা ভয়ংকর ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে চিন। হাসপাতালগুলি ভরছে রোগীতে। সেই শ্বাসকষ্ট, মাস্ক, স্যানিটাইজার ফিরেছে শি জিং পিংয়ের দেশে। এটিকে বলা হচ্ছে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস। এটির উপসর্গ প্রায় করেনাার মতোই। মাস্ক পরার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে চিন বলছে চিন্তার কোনও কারণ নেই। ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আগে থেকেই সতর্কতা নিতে বলা হচ্ছে।
২০০১ সালে এটি প্রথম লক্ষ্য করা যায়। নিউমোনিয়ার মতই এর গতিপ্রকৃতি। শ্বাসযন্ত্রের উপর ও নীচের অংশে এটি সংক্রমণ সৃষ্টি করে। উপসর্গ সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতই।
হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস এর সংক্রমণ হলে সাধারণভাবে সর্দি হয়, বারবার নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে, প্রচুর কফ উঠতে পারে। এর পাশাপাশি গলায় ব্যথা, জ্বর, কোনও কোনও ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে কারও যদি ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া বা অ্যাজমা থাকে তাহলে তা বেড়ে যেতে পারে।
করোনার মতোই এটি ছড়ায় হাঁচি-কাশির ড্রপলেটের মাধ্যমে। কোনও রোগীর সংস্পর্শে এলে, তার সঙ্গে হাত মেলালে, হাতের মাধ্য়মে মুখ বা চোখে ভাইরাস গেলে।
পাঁচ বছরের কম বয়সি বাচ্চারা বেশি আক্রান্ত হতে পারে। ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষরা। যদি এদের মধ্য়ে অন্য কোনও কো মরবিডিটি থাকে।
বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাত না ধুয়ে মুখ চোখে হাত দেওয়া যাবে না। ভিড়ের মধ্য়ে মাস্ক পরতে হবে। যেসব জায়গায় বারবার হাত পড়ে সেইসব জায়গা মুছতে হবে।