Science Focus: এই মহাবিশ্বে আমরা কতটুকুই বা জানি! জানার কোনও শেষ নেই, জানার আগ্রহ থাকলেই জানতে পারবেন অনেক কিছুই...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : রোজ রোজ একই ডাল আলু ভাত কারই বা খেতে ভালোলাগে? যেমন নুন ছাড়া তরকারি জীভকে বেসাধ করে দেয় তেমনই রোজকার একই খাবার মুখে রুচতেও চায় না। আপনারও যদি এমনটা হয়ে থাকে চটজলদি স্ক্রল করে দেখতে থাকুন আজকের উপস্থাপনা।
জানেন কী পশুপাখিরাও সময় দেখে! আমাদের মতো ঘড়ি নিয়ে সময় তারা কিন্তু সময় দেখে না। তাদের সময় দেখার ধরণ আমাদের থেকে একটু আলাদা। তাদের সময় চলে আমাদের থেকে ধীর গতিতে। কি একটু উদাহরণ চাই! বেশ দেখুন তাহলে, গিরগিটি এবং টিকটিকি, বিড়াল এবং কুকুরের তুলনায় অনেক ধীর গতিতে সময় অনুভব করে। এর কারণ হল মস্তিষ্ক যার যত দ্রুত চলে তার তত তারাতাড়ি সময়ও চলে।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সবসময় যে জল পড়লে ভিজবেই তার কোনও মানে নেই। কোনও শক্ত জায়গায় যদি জল পড়ে বা মেঝেতে যদি জল পড়ে শক্ত জায়গাটি এবং মেঝেটিকে ভেজা দেখায়। কিন্তু জানেন জল নিজে ভেজা নয় কিন্তু অন্য বস্তুকে ভিজিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে।
বড়ো শব্দের ভয়কে বলা হয় হিপোপটোমনস্ট্রসেসকুইপেডালিওপোবিয়া। ৩৬ অক্ষরের এই শব্দটি প্রথম শতাব্দীতে প্রথম ব্যবহার করেছিলেন রোমান কবি হোরেস, যারা দীর্ঘ শব্দের উচ্চারণের প্রতি কোন কারণ ছাড়াই ঝোঁক দেখান তাদের সমালোচনার জন্য এই শব্দের সৃষ্টি। আমেরিকান কবি আইমি নেঝেকুমাতাথিল, সম্ভবত তাঁদের নিজস্ব উপাধির নেওয়ার ভয়ে, ২০০০ সালে এই শব্দটি তৈরি করেছিলেন। আরেকটি শব্দের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করাই ফ্লকসিনউসিনিহিলিপিলিফিকেশন, যার অর্থ কোনও বস্তু বা ব্যক্তি বা ঘটনাকে ছোট করে দেখার বা দেখানোর প্রবণতা।
জানেন কী সূর্য শব্দ করে! সূর্যের শব্দ শুনতে পান না? কেন সূর্যের শব্দ শুনতে পান না জানেন! সূর্য থেকে উৎপন্ন হওয়া শব্দ তরঙ্গের আকারে শত শত মাইল যেতে থাকে ঠিকই কিন্তু তা মানুযের শ্রবণশক্তির বাইরে হওয়ায় মানুষেরা শুনতে পায় না।
জানেন, মাউন্ট এভারেস্ট পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ নয়। হাওয়াইয়ের মাউনা কেয়া এবং মাউনা লোয়া, এই দুটি আগ্নেয়গিরি, এভারেস্টের চেয়েও লম্বা কারণ তাদের উচ্চতার ৪.২ কিলোমিটার জলের নিচেই ডুবে আছে। এই দুটি আগ্নেয়গিরির মোট উচ্চতা ১০.২ কিলোমিটার, যেখানে এভারেস্টের উচ্চতা মাত্র ৮.৮ কিলোমিটার।
আমাদের সৌরজগতের একটি প্রাচীর আছে। হেলিওপজ - মহাকাশের সেই অঞ্চল যেখানে সৌর বায়ু দূরবর্তী নক্ষত্র থেকে আগত কণাকে পিছনের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু সেই বায়ু গরম নয়। এটি সৌরজগতের 'সীমানা প্রাচীর' নামে পরিচিত।
অক্টোপাসের তাঁবুতে কখনও থেকেছেন! অক্টোপাসের আটটি পা থাকে। সেফালোপড (অক্টোপাস, স্কুইড ইত্যাদি) সম্পর্কে কথা বলার সময়, বিজ্ঞানীরা তাঁবুকে এমন অক্টোপাসের পায়ের মতো করেই তৈরি করেছেন। তাঁবুর নীচে থাকে চুষার যন্ত্র যা অক্টোপাসের পায়েতেও থাকে।
আপনার গুগল ম্যাপ ঠিকঠাক কাজ করে? জানেন কী পৃথিবীর বেশিরভাগ মানচিত্রই ভুল। প্রথম মানচিত্র ১৫৬৯ সালে তৈরি হয়েছিল এবং তা এখনও ব্যবহৃত হয়। এর ফলে আলাস্কা ব্রাজিল এবং গ্রিনল্যান্ডকে বিশাল বড় দেখায়। আসলে ম্যাপের চেয়ে ১৪ গুণ বড়। মানচিত্রকে সম্পূর্ণ নির্ভুল করার জন্য ম্যাপকে গোলাকার হতে হবে।
টুকলি করেছে নাসা! যদিও এই টুকলিতে ধরা পড়ার কোনও ভয় নেই। চাঁদে অবতরণের সময় কিছু অংশ তারা নকল করেছিল। যদিও নীল আর্মস্ট্রং যখন প্রথম চাঁদে প্রথম পা ঠেকান, তখন তিনি কোনও নকল করেননি। মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় কোয়ারেন্টাইন প্রোটোকল মূলত একটি বড় প্রদর্শনী।
পচা ডিমের গন্ধ শুঁকেছেন কখনও? ধূমকেতুর গন্ধ অনেকটা অমনই। ধূমকেতুর গন্ধ অনেকটা পচা ডিম, প্রস্রাব, জ্বলন্ত দেশলাই এবং পচা বাদামের মতো। 67P/Churyumove-Gerasimenko এই ধূমকেতুতে হাইড্রোজেন সালফাইড, অ্যামোনিয়া, সালফার ডাই অক্সাইড এবং হাইড্রোজেন সায়ানাইডের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।