Kolkata Tangra Case Update: পরিবারের এক পরিচিতের বয়ানে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। প্রতিবেশীরাও জানাচ্ছেন...
Kolkata Incident: সময় যত গড়াচ্ছে, তদন্ত যত এগোচ্ছে, কলকাতার ট্য়াংরা কাণ্ডের রহস্য যেন তত গাঢ় হচ্ছে। আত্মহত্যা না খুন? আত্মহত্যার উদ্দেশ্যেই ইচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা? তদন্তে নেমে একের পর এক জট ছাড়াতে ব্যস্ত দুঁদে তদন্তকারী অফিসাররা। (ছবিতে প্রণয় দে)
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাংরার অতুল শূর রোডের বাড়ির তিনতলায় ৩টে আলাদা ঘরে ৩টি দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধার হয় দুই ভাই প্রসূন ও প্রণয়ের দুই স্ত্রী সুদেষ্ণা দে (বড় বউ) ও রোমি দে (ছোট বউ)-এর নিথর দেহ। একইসঙ্গে উদ্ধার হয় ছোট ভাইয়ের মেয়ে প্রিয়ংবদা দে-রও দেহ। (ছবিতে প্রসূন দে)
এখন প্রিয়ংবদা দে-র শরীরে কোনও রক্তপাতের ক্ষতচিহ্ন না থাকলেও রোমি দে-র গলায় ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পাশাপাশি, সুদেষ্ণা দে-র হাতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওদিকে নিহত নাবালিকার মুখ থেকে শুধু গ্যাঁজলা বেরতে দেখা গিয়েছে।
উদ্ধার হয়েছে একটি পেপার কাটিংয়ের ছুরি। বাড়ির দোতলা সহ গোটা বাড়িতেই বিক্ষিপ্তভাবে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে। ট্যাংরা কাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে ৩ডি ম্যাপারেরও এসেছে ঘটনাস্থলে। রক্তের নমুনার পাশাপাশি অন্যান্য তথ্যপ্রমাণও সংগ্রহ করবেন তাঁরা। (ছোটো ভাইয়ের মেয়ে)
দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে গাড়ির ভেতর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা একাধিক রিস্টব্যান্ড। ক্রিস্টাল, চন্দন কাঠের তৈরি সেগুলি। দুর্ঘটনার জেরে সামনে থেকে দুমড়ে যায় গাড়িটি। দুটি এয়ারব্যাগ-ই রয়েছে খোলা অবস্থায়। সিটে রক্ত। সামনের সিট ভেঙে গিয়েছে। (বড় ভাইয়ের ছেলে)
এখন এই পরিবারের এক পরিচিতের বয়ানে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। মনোজ কুমার গুপ্তা নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি লেদার সরবরাহ করতেন এই পরিবারকে। তিনি জানান, ওই পরিবারের দেওয়া ২৩ লাখ টাকার চেক বাউন্স করেছিল। (ছবিতে প্রসূন দে)
অনেকবার ফোন করে না পেয়ে, গতকাল বাড়িতে আসেন। কিন্তু কেউ ফোনও ধরেননি, দরজাও খোলেননি। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, গতকাল বিকেল থেকে বাড়ির সব আলো বন্ধ ছিল। সিসিটিভিও বন্ধ ছিল। সিসিটিভি-র মুখ ঘোরানো ছিল। (ছবিতে প্রণয় দে)