Tangra Murder Case Poison: কটু গন্ধে দুই নাবালক-নাবালিকা প্রথমে পায়েস খেতে চাইছিল না। গন্ধ ঢাকতে তাই...
Tangra Murder Case Update: কোনও রেডিমেড বিষ নয়। মেয়েকে মারতে দে পরিবার নিজেরাই করে 'ভয়ংকর' বিষ! হাড়হিম করা ট্যাংরাকাণ্ডের তদন্তে একের পর এক যে তথ্য সামনে আসছে, তাতে শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত নেমে যেতে বাধ্য।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দেনার দায়ে জর্জরিত দে পরিবার মেয়েকে মারতে একাধিক ওষুধ মিশিয়ে নিজেরা-ই তৈরি করেছিল 'বিষ'। রাংতা থেকে বের করে কোনও 'বিষাক্ত পদার্থ' পায়েসে মেশানো হয় ১৭ তারিখ। আসলে একাধিক প্রেশারের ওষুধ এবং হাই ডোজের ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল পায়েসে।
প্রমাণ লোপাট করতে তারপর সেই রাংতাগুলো অন্যত্র ফেলে আসা হয়। সেই রাতেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে কোথাও একটা থেমে রাংতাগুলো ফেলা হয় বলে সূত্রের খবর। এখন ওষুধের কটু গন্ধে দুই নাবালক-নাবালিকা প্রথমে পায়েস খেতে চাইছিল না।
তাই সেই পায়েসে ওষুধের গন্ধ ঢাকতে তারপর তুলসি পাতা মেশানো হয় বলে জানা গিয়েছে। দুই নাবালক নাবালিকা তখনও বুঝতে পারেনি যে ওষুধের গন্ধ বেরলেও, আসলে একাধিক চড়া ডোজের ওষুধের মিশ্রণে পায়েসের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে 'বিষ'।
প্রসঙ্গত, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কিশোরী প্রিয়ংবদা দে-র বিষক্রিয়ায় মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার পাকস্থলীতে মিলেছে হালকা হলুদ রঙের পরিপাক হওয়া খাবারের সঙ্গে ওষুধের গন্ধ যুক্ত সাদা গুঁড়ো গুঁড়ো দানা।
ফরেনসিক মেডিসিনের চিকিৎসকদের কথায়, রোমি দে, সুদেষ্ণা দে ও প্রিয়ংবদা দে- ৩ জনকে যে খুন করা হয়েছে, এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে কী ধরনের বিষ দেওয়া হয়েছিল, তা কেমিক্যাল টেস্টের পর-ই আরও পরিষ্কার হবে।