Kolkata Tangra Murder Case update: ট্যাংরাকাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জোর চাঞ্চল্য! মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে।
Kolkata Shocker: ট্যাংরাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট! খুন-ই হয়েছেন ৩ জন মহিলা! ট্যাংরাকাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিলমোহর পড়ল খুনের তত্ত্বে।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে খুনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, রিপোর্টে উল্লেখ, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে সুদেষ্ণা দে ও রোমি দে-র। ওদিকে বিষক্রিয়ায় কিশোরীর মৃত্যু বলে উল্লেখ রিপোর্টে।
রিপোর্টে উল্লেখ,রোমি দে-র দুই কবজিতেই বাইরের দিকে (Anterior Part) ক্ষতচিহ্ন। গলাতেও ক্ষত। বাঁদিক থেকে ডানদিকে আঘাতের চিহ্ন গলায়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ক্ষতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণকে।
সুদেষ্ণা দে-র ক্ষেত্রেও রিপোর্টে দুই কবজিতে ক্ষতচিহ্নের উল্লেখ। প্রধান শিরাতে চোট লাগে সুদেষ্ণা দে-র। গলাতেও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে হেমারেজিক শকে সুদেষ্ণা দে-র মৃত্যু বলে উল্লেখ।
কিশোরী প্রিয়ংবদা দে-র বুক, দু পা, ঠোঁট সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি সূত্রের খবর, আঘাতের চোটে নিহত কিশোরীর মস্তিষ্কেও রক্ত জমাট (scalp hematoma) বেঁধে যায় বলেও উল্লেখ রিপোর্টে।
আরও বলা হয়েছে যে, কিশোরী প্রিয়ংবদার হাত ও পায়ের পাতা নীলচে বেগুনি রং (Cyanosis) ধারণ করেছিল। আঘাত রয়েছে পাকস্থলীতেও। পাকস্থলীতে মিলেছে হালকা হলুদ রঙের পরিপাক হওয়া খাবার। সঙ্গে ওষুধের গন্ধ যুক্ত সাদা গুঁড়ো গুঁড়ো দানা।
'বিষ প্রয়োগে' কিশোরী প্রিয়ংবদা দে-কে খুন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। আর এটাও বলা হয়েছে যে, মৃত্যুর সময় সম্ভবত শেষ খাবার খাওয়ার ৩ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে। ময়নাতদন্ত হওয়ার ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগে।