Death From Lightning: এখনও বর্ষা এল না। তাতেই এই অবস্থা। ভয়ংকর বজ্রপাতে একাধিক মৃত্যু! এরপর কী হবে?
মাঠে ধান তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হল এক কৃষকের। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থানার ২৩ নম্বর লাট এলাকার। মৃত ব্যক্তির নাম জয়ন্ত মণ্ডল। স্থানীয়সূত্রে ও পুলিসসূত্রে জানা যায়, হঠাৎই ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয় এই এলাকায়।
জানা গিয়েছে, তখন মাঠে ধান তুলছিলেন জয়ন্ত মণ্ডল-সহ বেশ কয়েকজন। তখনই হঠাৎই বজ্রপাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন জয়ন্ত-সহ আরও বেশ কয়েকজন।
আহতদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসকরা জয়ন্ত মণ্ডলকে মৃত বলে জানান। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
ওদিকে একই রকম দুর্ঘটনা মুর্শিদাবাদে। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া ও সাগরপাড়ায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল দুই কৃষকের। আহতও হয়েছেন দুই কৃষক।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হরিহরপাড়ার দস্তুরপাড়া মাঠে কৃষিজমিতে কাজ করার সময় বৃষ্টি শুরু হয়। মাঠের পাশের কুঁড়েঘরে আশ্রয় নেন কয়েকজন কৃষক। তখনই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় শ্যামল মাল (৭২) নামে এক কৃষকের। এখানেই আহত হন আরও দুই কৃষক।
অন্য দিকে, সাগরপাড়ার সীমান্তবর্তী সিং পাড়া এলাকায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল কুমারেশ ঘোষ ( ৫২) নামে এক কৃষকের। মৃত কৃষক চকচৌতন ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল খড়গপুরেও। মৃতের নাম চন্দন ঘাটা। তিনি খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত কৃষ্ণনগরে একটি ইটভাটার ম্যানেজার ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে যখন ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল সেই সময়ে তিনি ইটভাটার পাশেই একটি গাছের নীচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই সময়ে বজ্রপাত হয়। নিমেষের মধ্যেই তাঁর শরীর ঝলসে যায়। খবর পেয়ে ইটভাটার কর্মীরা ম্যানেজারকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।