Lord Hanuman Puja on Tuesday: হনুমানজির আশীর্বাদ যাঁর উপর থাকে, তাঁকে কোনও বিপদ স্পর্শ করতে পারে না। শনির অশুভ নজরও কাটিয়ে দিতে পারেন তিনি। আর, এই মঙ্গলবার দিনটিই হল হনুমানজির পুজোর বিশেষ দিন। জেনে নিন, আজ কোন কোন কাজ করলে খুশি হন পবনপুত্র।
হনুমানজির বিশেষ কৃপা পেতে চাইলে প্রতি মঙ্গলবার অবশ্যই হনুমান চালিশা পাঠ করুন। মঙ্গলবার হনুমান চালিশা পাঠ করলে বিশেষ প্রসন্ন হন বজরঙ্গবলী। এঁদের জীবনের সব বাধা-বিঘ্ন তিনি নিজের হাতে দূর করে দেন।
মঙ্গলবার স্নান করে তাঁর নাম করুন। এবং বজরঙ্গবলীর নামে উপবাস করুন। এতে মন শান্ত হয়।
মঙ্গলবার কোনও লাল ফুল বজরঙ্গবলীকে নিবেদন করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এতে সব কষ্ট দূর হয়।
মঙ্গলবার কোনও লাল ফুলের সঙ্গে লাল রঙের সিঁদুরও নিবেদন করুন হনুমানজিকে। বজরঙ্গলীর গায়ে সিঁদুরের প্রলেপ দিন। মঙ্গলবার হনুমানকে খাবার উৎসর্গ করাও খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এদিন অনেকেই হনুমানকে ছোলা, কলা ও গুড় ইত্যাদি খাওয়ান।
এদিন উপবাস করতে না পারলে সাত্ত্বিক আহার করুন। হনুমানজির ধ্যান করুন। এর ফলে তাঁর আশীর্বাদে আপনার সমস্ত আর্থিক সংকট কেটে যাবে, হাতে টাকা আসবে, অবস্থার উন্নতি হবে।
শিবের অবতার হনুমানজি। তিনি অমর। তিনি আসলে রাম-ভক্তি প্রচারের জন্য পৃথিবীতে এসেছিলেন। সেই কাজ হয়ে গেলে তিনি স্বধামে ফিরে গিয়েছেন। স্বধাম মানে স্বর্গে নয়। তিনি এই মর্ত্যেই আছেন। হিমালয়ের কোনও সুদুর্গম অঞ্চলে। ত্রেতার হনুমানের সঙ্গে তো দ্বাপরের ভীমের দেখাও হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার মানুষও বিশ্বাস করেন, নির্দিষ্ট সময়ের পর-পর হনুমানজি লঙ্কায় যান। তা ছাড়া সম্ভবত, বজরঙ্গবলীই হলেন একমাত্র দেবতা, যাঁকে এই ঘোর কলিযুগেও চাক্ষুস করা যায়। 'চাক্ষুস করা যায়' মানে, হনুমানজির বংশধরদের দেখা যায়। তাদের মধ্যে দিয়েই তাঁর উপস্থিতি অনুভব করা যায়। ভক্তের পক্ষে সেটা সম্ভব।
(Disclaimer: প্রচলিত ধর্মীয় রীতি, শাস্ত্র বা তত্ত্বের ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি মানা বা না মানার সুপারিশ করা হচ্ছে না। বিশ্বাস ব্যক্তিগত বিষয়। সচেতন পাঠক যা করবেন স্বদায়িত্বে। আমাদের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও দায়বদ্ধতা নেই।)