Mahashivratri 2025 | জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজ মহাশিবরাত্রি। মহাকুম্ভের শেষ শাহি স্নান যোগে আজ মহাশিবরাত্রি। প্রতি বছর শিব ভক্তরা এই দিনটিতে ভক্তি ভরে মহাদেবের আরাধনা করে থাকেন। সারাদিন উপোস থেকে, কেউ কেউ নির্জলা উপোস থেকে শিবের মাথায় জল ঢালেন মহাদেবের আশীর্বাদ প্রার্থনায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, শিবপুজোর তাৎপর্য, রীতি-আচার ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব।
হিন্দুদের সবচেয়ে পবিত্র উৎসব মহাশিবরাত্রি। কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিবরাত্রি পালিত হয়। চন্দ্রমাস ভিন্ন হলেও সমগ্র ভারত জুড়ে একইদিনে শিবরাত্রি পালিত হয়। দক্ষিণ ভারতে মাঘ এবং উত্তর ভারতে ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিবরাত্রি পালিত হয়।
মহাশিবরাত্রি কেন পালিত হয়? হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে মহাশিবরাত্রি ভগবান শিবের মহাজাগতিক নৃত্য বা তাণ্ডব সূচিত হয়। যা সৃষ্টি, জীবিকা এবং ধ্বংসের প্রতিনিধিত্ব করে।
শিবরাত্রিকে দেবী পার্বতীর সঙ্গে শিবের বিয়ের রাত হিসেবেও ধরা হয়। যা মহাবিশ্বে পুরুষ ও নারী শক্তির মিলনের প্রতীক।
মহাশিবরাত্রির ব্রতবিধি বা উপবাসের রীতি: উপবাসের প্রস্তুতির জন্য ভক্তরা মহাশিবরাত্রির প্রাক্কালে শুধুমাত্র একবার খাবার গ্রহণ করেন। বলা হয় যে এই রীতি শরীরকে বিশুদ্ধ করে এবং পুজা করার সময় একাগ্রতা বৃদ্ধি করে।
সকালে পবিত্র স্নানের পর ভক্তরা কঠোর উপবাস পালনের জন্য সংকল্প গ্রহণ করেন। ধ্যানের মাধ্যমে প্রার্থনা করেন। ব্রতবিধির মধ্যে খাবার পরিহার করা ছাড়াও রয়েছে রাতভর জেগে থেকে "ওঁ নমঃ শিবায়" জপ করা।
শিবপুজার আগে সন্ধ্যায় ভক্তরা বাড়িতে বা মন্দিরে স্নান করেন। চারটি প্রহরে পুজা করা হয়। যেখানে দুধ, জল, বিল্বপাতা এবং পবিত্র জিনিসপত্র ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয়।
দিনভর শিবের মন্ত্র পাঠ, শিব পুরাণের মতো ধর্মগ্রন্থ পাঠ শোমা এবং ধ্যান আধ্যাত্মিক বন্ধনকে বৃদ্ধি ও দৃঢ় করে।
উপবাস ভঙ্গ: পরের দিন সকালে প্রার্থনার পর উপবাস ভাঙা হয়। মহাদেবের সর্বাধিক আশীর্বাদ লাভের জন্য সূর্যোদয় এবং চতুর্দশী তিথির শেষের মধ্যে উপবাস ভঙ্গ করা-ই ভক্তদের জন্য শ্রেয়।
মহা শিবরাত্রির আধ্যাত্মিক তাৎপর্য: মহা শিবরাত্রি কেবল শুধুমাত্র কিছু আধ্যাত্মিক রীতি-আচার নয়। বরং আত্ম-শৃঙ্খলার পাঠও বটে। নিজ আধ্যাত্মিক উপলব্ধির অন্যতম একটি উপায়।
উপবাস ও রাতব্যাপী উপাসনা শিবের মহাজাগতিক শক্তির সঙ্গে ভক্তদের সংযুক্ত করে। ভক্তদের জীবন শান্তি, সমৃদ্ধি এবং আত্মশক্তিতে পরিপূর্ণ করে।