Bengali New Year 1432: বছরের প্রথমদিন সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, 'শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক বাংলার প্রতিটি মানুষ।' এদিনই প্রকাশ পেল মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ও সুর করা নতুন গান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বছরের প্রথমদিন সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দিনটি শুধু বাংলা নতুন বছরের শুরুই নয়, পয়লা বৈশাখে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ও পালন করা হয়।
নববর্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ…'শুভ নববর্ষ ১৪৩২! নতুন বছরের পুণ্য আলোর দ্যুতিতে আলোকিত হোক সকলের জীবন। শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক বাংলার প্রতিটি মানুষ। সবাইকে শুভনন্দন।
আরেকটি পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, 'আমি বাংলায় গান গাই...'।‘বাংলা দিবস’ – এ সকল নাগরিককে জানাই শুভনন্দন এবং ছোট ছোট ভাইবোনেদের জানাই অনেক শুভেচ্ছা। আরও বিকশিত হোক রাজ্যের ঐতিহ্যময় সংস্কৃতি, আরও সুদৃঢ় হোক রাজ্যবাসীর ভ্রাতৃত্ব-বন্ধন।
এদিন একটি গান প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা ও সুরে গানটি গেয়েছেন শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, " বৈশাখ মাসে এলো নববর্ষ ,নিয়ে এসো নিয়ে এসো নবহর্ষ'। নতুন বছরের আগমনে প্রসন্নতা এবং প্রফুল্লতায় ভরে উঠুক বাংলা। আমার কথা ও সুরে, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে 'নববর্ষের গান'।
তিনি আরও লেখেন, "সকলকে জানাই শুভ নববর্ষের শুভনন্দন। শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক বাংলার প্রতিটি মানুষ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন"।
নববর্ষের প্রাক্কালে সোমবার কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এদিনই কালীঘাটে স্কাই ওয়াকের উদ্বোধন করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'সবার মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করলাম এরইসঙ্গে নকুলেশ্বর ভৈরব মন্দির পরিদর্শন করলাম। কালীমায়ের স্নেহাশিসে নতুন বছরের প্রতিটি দিন সুন্দর হয়ে উঠুক। সকলের জীবন হোক সুখে পরিপূর্ণ ও শান্তিময়'।
'কালীঘাট মন্দির একটি পরম পবিত্র সতীপীঠ—একান্ন শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম। অসংখ্য ভক্তের ন্যায় আমার কাছেও এই মন্দির ও মা কালীর দর্শন, তাঁর আশীর্বাদ মনের শান্তি বিকশিত করে। প্রতি বছর মা-র সঙ্গে মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করার স্মৃতি আজও আমার হৃদয়ে গভীরভাবে গেঁথে আছে', লেখেন মমতা।
স্কাইওয়াক উদ্বোধন প্রসঙ্গে বলেন, 'পবিত্র স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, দক্ষিণেশ্বরের মতই কালীঘাটে একটি আধুনিক এবং সুসজ্জিত স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করলাম— যা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোড, মেট্রো স্টেশন এবং কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন এলাকাকে অঙ্গাঙ্গিভাবে সংযুক্ত করেছে'।
প্রায় ৪৩৫ মিটার দীর্ঘ এই স্কাইওয়াক লিফ্ট, সিঁড়ি-সহ চলমান সিঁড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে তীর্থযাত্রীদের জন্য এবং বিশেষ করে প্রবীণ দর্শনার্থীদের জন্য। তাঁদের যাতায়াতকে আরও সহজ, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ করে তুলতে এই স্কাইওয়াক।