চেন্নাইয়ের বিমান ধরার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে মমতা বলেছিলেন ২০২৪ এর নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। আঞ্চলিক দলগুলির উপরে আমি ভরসা করি। মমতার ওই বক্তব্যের পর স্বাভাবতই প্রশ্ন ওঠে আগামী লোকসভা নির্বাচন নিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ কোনও কথা হতে পারে। কিন্তু বৈঠক শেষে এনিয়ে কেমন কিছুই বললেন না মুখ্যমন্ত্রী।
ওই সাক্ষাতের আগে তাকে সৌজন্য সাক্ষাত বলে মমতা জানালেও তিনি এটাও বলেন, যখন দুই রাজনৈতিবিদ সাক্ষাত করেন তখন বহুবিষয় নিয়ে কথা হয়। তবে এদিন, বৈঠক শেষ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, স্ট্যালিন আমার ভাইয়ের মতো। ওঁর সঙ্গে এটা একেবারেই সৌজন্য় সাক্ষাত। এই কর্মসূচি আগে থেকে ঠিক ছিল না। আমাদের রাজ্যপালের এক পরিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। সেইজন্যই আমার এখানে আসা। কিন্তু এখানে এসে স্ট্যালিনের সঙ্গে দেখা না করে কীভাবে যেতে পারি। ওঁর সঙ্গে দেখা করলাম। শুভেচ্ছা বিনিময় করলাম।
মমতা আরও বলেন, যখন দুজন রাজনৈতিক নেতার সাক্ষাত হয় তখন রাজনীতি ছাড়া অন্য অনেককিছু নিয়েও আলোচনা হতে পারে। উন্নয়ন ও মানুষের ভালোর জন্য়ও কথা হতে পারে। রাজনীতির থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানুষের উন্নয়ন।
এর আগেও বিভিন্ন সময় দেশের বহু বিরোধী নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে বারবারেই বিরোধী ঐক্যের কথা বলেছেন। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি অখিলেশের হয়ে প্রচার করেছেন। তিনি মনে করেন বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হলে বিজেপির কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। তাঁর এমন ভাবনায় স্ট্যালিনকে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব বলেই মনে করা হচ্ছে। মমতার এই সাক্ষাতের পরে হয়তো বোঝা যাবে তাঁর ওই সাক্ষাতের হেতু কী।
স্ট্যালিনের সঙ্গে মমতার ওই সাক্ষাতকে কটাক্ষ করলেন রাজ্য কংগ্রেস প্রধান অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্তমান উপরাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রার্থী ছিলেন মার্গারেট আলভা। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিলেন তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন না। বিরোধীরা যখনই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছে তখন ভেতর থেকে সেই ঐক্যকে দুর্বল করে দিয়েছেন মমতা। তাই বর্তমান রাজনীতিতে মমতাকে বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে উঠছে। অন্যদিকে, এনিয়ে শমীক লাহিড়ী বলেন, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী ঐক্য? গোয়ায় প্রার্থী দিয়ে বিজেপিকে জিততে সাহায্য করেছেন। এভাবে বিজেপি বিরোধী ঐক্য তৈরি করবেন উনি?