i and Cyclone Mantha: বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া গবেষণা মডেল অনুয়ায়ী সম্ভাব্য ...
অয়ন ঘোষাল: মে মাসের শেষে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে মে মাসের শেষ সপ্তাহে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে যা নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। নিম্নচাপ তৈরি হয়ে গিয়েছে আরব সাগরে। তার শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে আরব সাগরের সমুদ্র পৃষ্ঠের উষ্ণ তাপমাত্রায়। এটি ক্রমশঃ ঘনীভূত হয়ে শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে একাধিক মডেলের দাবি। ঘূর্ণিঝড় হলে এর নামকরণ হবে শক্তি।
যে নাম শ্রীলঙ্কার দেওয়া। যার অর্থ ক্ষমতা বা পাওয়ার। মাঝারি মানের এই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ল্যান্ড ফল হতে পারে ভারতের গুজরাটের কচ্ছ উপকূল বা পাকিস্থানের করাচি উপকূলের কাছাকাছি কোনো জায়গায়। এটি ২৬ থেকে ২৮ মে - র মধ্যে যেকোনো সময় মাঝারি মাপের ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে মে মাসের শেষ সপ্তাহে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে যা প্রথমে নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে কোনও কোনও আন্তর্জাতিক আবহাওয়া মডেল দাবি করেছে।
সেই মডেল গুলির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী ২৭ মে মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর যদি শক্তি বাড়িয়ে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে তার নাম হবে মান্থা। নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া।
এর অর্থ সমুদ্র মন্থন। যেহেতু বঙ্গোপসাগরের একটা বিস্তীর্ণ এলাকায় ইতিমধ্যেই মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হয়ে গেছে তাই শেষ পর্যন্ত মন্থা ঘূর্ণিঝড় হলেও তার বিশেষ ক্ষয়ক্ষতির ক্ষমতা নাও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে দুটি সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।
প্রথমত এটি মৌসুমী বায়ুকে ত্বরান্বিত করে অনুঘটকের কাজ করে নিজের শক্তি সমুদ্রেই হারিয়ে ফেলবে। দ্বিতীয়ত এটি মৌসুমী বস্যুর থেকে সমস্ত জলীয় বাষ্প টেনে নিয়ে মৌসুমী বায়ু কে দুর্বল করে দেবে এবং বাংলাদেশের কোনো একটি উপকূলে স্বল্প বা মাঝারি শক্তির ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আগামী ৩০ মে বেলা ১২ টা নাগাদ ল্যান্ড ফল করবে।
যদি দ্বিতীয়টি হয় তাহলে সময়ের থেকে এগিয়ে আসা মৌসুমী বায়ু দুর্বল হয়ে যাবে। এবং পশ্চিমবঙ্গ- সহ পূর্ব ভারতে বর্ষার আগমন বিলম্বিত হবে।
তবে ২৭ মে মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে নিম্নচাপ। মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে এই নিম্নচাপ। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সেই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে।