কিষেণ জি'র মৃত্যুবার্ষিকীর আগে থমথমে জঙ্গলমহল
সৌরভ চৌধুরী, ঝাড়গ্রাম: দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে জঙ্গলমহলে ফের সক্রিয় মাওবাদীরা (Maoist)। কিষেন জি'র মৃত্যু বার্ষিকীর আগে থমথমে জঙ্গলমহল। মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে (U.S. DEPARTMENT of STATE) মাওবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত। মার্কিন নাগরিকদের জন্য জারি বিশেষ সতর্কতা। জঙ্গলমহলে না যাওয়ার ফরমান।
২৪শে নভেম্বর অর্থাৎ বুধবার প্রাক্তন মাও নেতা কিষেন জি'র দশম মৃত্যুবার্ষিকী। তার আগে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে থমথমে পরিবেশ। শুধু রাজ্য বা দেশের গোয়েন্দা রিপোর্টে নয়, মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টেও জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের মাথাচাড়া দেওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।
ট্রাভেল অ্যাডভাইসরিতে, দেশের নাগরিকদের পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
Exclusive: জঙ্গলমহলে ফের সক্রিয় মাওবাদীরা, মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে বাড়ছে আতঙ্ক, মিলল একাধিক পোস্টার!#Maoists #JangalMahal pic.twitter.com/P1IIsPjpLr
— zee24ghanta (@Zee24Ghanta) November 23, 2021
গত ১০ বছরে জঙ্গলমহলে একাধিকবার বনধ ডেকেছে মাওবাদীরা। তবে সেভাবে বনধের প্রভাব পড়েনি। কারণ সাধারন মানুষের সমর্থন হারিয়েছিল মাওবাদীরা। কিন্তু এই প্রথম বনধে শুনশান জঙ্গলমহল। এখানেই কপালে ভাঁজ পড়ে প্রশাসনের। তাহলে কি মানুষের সমর্থন ফিরে পাচ্ছে মাওবাদীরা? সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় পোষ্টার, ল্যান্ডমাইন উদ্ধার হওয়াও এর একটা ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু কিভাবে?
যে সমস্ত এলাকায় বনধ সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছে, সেখানকার মানুষেরও কথাতেই, ফের মাওবাদী সংগঠন গড়ে ওঠার ইঙ্গিত মিলেছে। উন্নয়নের জন্য আসা টাকাই মাওবাদীদের জঙ্গলমহলে ফের নতুন করে সমর্থন জুগিয়েছে। অভিযোগ, কারণ উন্নয়নের টাকার বেশির ভাগটাই নাকি নেতাদের পকেটে গিয়েছে। এই দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেই গ্রামের মানুষদের থেকে সমর্থন জোগার করেছে মাওবাদীরা।
ইতিমধ্যে নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একধিক পোষ্টারও পড়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লালগড়ে যে দুটো ল্যান্ডমাইন উদ্ধার হয়েছিল, সেগুলো নাকি ২৪ তারিখের জন্যই প্রস্তুত করা হয়েছিল। যার মধ্যে একটি ছিল একদমই নতুন ধরনের প্রযুক্তিতে তৈরি এবং অসম্ভব শক্তিশালী। তাই এবার কিষেন জি'র মৃত্যুবার্ষিকীর আগে থমথমে গোটা জঙ্গল মহল।