Meerut Murder Case: ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, সৌরভের মাথা কেটে ফেলা হয়েছে, তার হাত কব্জি থেকে কেটে ফেলা হয়েছে এবং তার পা পিছনের দিকে বাঁকানো ছিল। একটা 'ছোট্ট ভুল'-এই পর্দাফাঁস হয় মুসকান-সাহিলের হাড়হিম অপরাধের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৩০ বছরের কর্মজীবনে কখনও এত বীভৎস অবস্থায় কোনও মৃতদেহ তিনি পাননি! দেহ থেকে খুলে আসছিল চামড়া! নড়বড় করছিল দাঁতও!ময়নাতদন্তের পর এমনই জানিয়েছিলেন মেডিক্যাল অফিসার।
এদিন মুসকান জানালেন, কেন সৌরভের দেহ টুকরো করেছিল সে এবং তার প্রেমিক সাহিল। খুনের পর দেহ কেটে ১৫ টুকরো করা হয়। আলাদা করা হয় সৌরভের মাথা, হাতের কব্জি। যাতে দেহ শনাক্ত করা না যায় সে কারণেই এই নৃশংসতা।
সৌরভকে খুনের পর মুসকান এবং সাহিল প্রথমে একটি স্যুটকেস কিনেছিলেন। কিন্তু তারা তাকে স্যুটকেসে দেহ রাখতে পারেননি। তদন্তকারীরা মুসকানের ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে স্যুটকেসে রক্তের দাগও পেয়েছেন।
পুলিস যাতে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে তাকে শনাক্ত করতে না পারে তাই কেটে ফেলা হয় হাত। সৌরভের গলা কেটে তার শিরশ্ছেদ করে। ভেবেছিল মাথাবিহীন দেহ থাকলে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন হবে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরাই পড়ে। ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলের সর্বত্র রক্তের দাগ খুঁজে পেয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিছানার চাদর, বালিশ, টাইলস এবং বাথরুমের জলের কল।
পিটিআই অনুসারে, সৌরভকে পথ থেকে সরিয়ে সাহিলকে বিয়ে করার জন্য মুসকান দীর্ঘদিন ধরে খুনের পরিকল্পনা করছিল।এদিকে মুসকান ও সাহিল দুজনেই স্বামী-স্ত্রী বলে দাবি করে জেলে একে অপরের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছে।
সাহিল এবং মুসকানের জবানবন্দিতে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে যে তাঁরা ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত মাদক সেবন করছিলেন। শুকনো মাদকের পাশাপাশি তাঁরা ড্রাগ ইনজেকশনও নিতেন। স্কুলের এক রিইউনিয়নে মুসকানের সঙ্গে সাহিলের দেখা হয়।