Meerut Murder Case: প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন! মেরঠ হত্যাকাণ্ড দেখে শিউরে উঠেছে সবাই। অথচ একদিন এই সৌরভকে বিয়ের জন্যই বাড়ি থেকে ৩-৩ বার পালিয়েছিল 'স্বামীহন্তা' মুসকান।
পুত্রহারা, সৌরভের হতভাগ্য মা রেনু দেবী জানিয়েছেন, ১৩ বছর বয়সে প্রেমে পড়েন সৌরভ ও মুসকান। মুসকানের দাদু ছিলেন জ্যোতিষী। তাঁর বাড়িতেই প্রথম দেখা হয় সৌরভ ও মুসকানের।
এরপর ৫ বছর ধরে প্রেম করার পর দুজনেই বিয়ে করবে বলে ঠিক করে। কিন্তু বাড়ি থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তখন ৩-৩ বার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সৌরভ ও মুসকান।
পুলিস গিয়ে খুঁজেও আনে দুজনকে। শেষবার একেবারে বিয়ে করে বাড়ি ফেরেন সৌরভ। ছেলের আবদারকে মর্যাদা দিয়ে মুসকানকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনেও নেন সৌরভের বাবা-মা।
মা রেণুদেবী জানিয়েছেন, ছোটো থেকেই সৌরভের খেলাধূলা প্রিয় ছিল। পড়াশোনাতেও ভালো ছিল। বুদ্ধিমান ছিল সে। সবার ছোট হওয়ায়, সকলের আদরেরও ছিল।
২০১৬ সালে লন্ডনের জাহাজ কোম্পানিতে চাকরি পায় সৌরভ। এদিকে বিয়ের ৬ মাস পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে ঝগড়া-অশান্তি শুরু করে মুসকান। জেলে পাঠানোর হুমকি দিতেও শুরু করে।
এরপর সৌরভ বাড়ি ছেড়ে এসে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করেন। ২০১৯ সালে তাঁদের মেয়ে হয়। চাকরির সুবাদে ২০২৩ সাল থেকে বিদেশে থাকতে শুরু করেন সৌরভ।
ওদিকে মেয়ের জন্মের পরই ২০১৯ সাল থেকে বাল্যবন্ধু সাহিল শুক্লার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে মুসকান। সেই সাহিল শুক্লাকে সঙ্গে নিয়েই মেয়ের ৬ বছরের জন্মদিনে বাড়িতে আসা সৌরভকে নৃশংসভাবে খুন করে মুসকান।
তারপর দেহ ১৫ টুকরো করে সেই দেহাংশ ড্রামবন্দি করে সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দিয়ে, প্রেমিকের সঙ্গে মানালি বেড়াতে চলে যায় মুসকান। এমনকি খুনের ১১ দিনের মাথায় প্রেমিকের সঙ্গে রীতিমতো হোলিও খেলে মুসকান।