একইসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, ২০২১ সালে প্রথমবার স্ত্রী মুসকানের পরকীয়ার কথা জানতে পারেন মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুত। তখনই ডিভোর্সের মামলাও দায়ের করেছিলেন সৌরভ। পরে আবার তা মিটমাট করে নেন মুসকান।
২০১৬ সালে পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে মুসকানকে ভালোবেসে বিয়ে করেন সৌরভ। ২০১৯-এ তাঁদের মেয়ে হয়। কিন্তু মেয়ের জন্মের পরই বাল্যবন্ধু সাহিল শুক্লার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে মুসকান।
অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সাহিল শুক্লার সঙ্গে একইসঙ্গে পড়াশোনা করেছিল মুসকান। তারপর দীর্ঘদিন দুজনের কোনও যোগাযোগ ছিল না। মেয়ের জন্মের পর, কর্মসূত্রে সৌরভের অনুপস্থিতির সময়ে, ফের সাহিল শুক্লার সঙ্গে যোগাযোগ হয় মুসকানের। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে দুজনে।
যেকথা জানতে পেরে যান সৌরভও। আর তার ৪ বছর পরই স্ত্রী ও তার প্রেমিকের হাতে খুন হলেন তিনি। একমাত্র মেয়ের ৬ বছরের জন্মদিনে সারপ্রাইজ দেবেন বলে ২৪ ফেব্রুয়ারি লন্ডন থেকে ছুটিতে বাড়িতে আসেন মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুত।
আর ৪ মার্চ স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি ও তার প্রেমিক সাহিল শুক্লা, দুজনে মিলে নৃশংসভাবে খুন করে সৌরভকে। খুনের পর দেহ ১৫ টুকরো করে। তারপর সেই দেহাংশ ড্রামবন্দি করে সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দিয়ে, প্রেমিকের সঙ্গে মানালি বেড়াতে চলে যায় মুসকান।