Meerut murder case: ৪ মাস ধরে সৌরভকে খুনের ছক কষে মুসকান। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, সৌরভের মাথা কেটে ফেলা হয়েছে, তার হাত কব্জি থেকে কেটে ফেলা হয়েছে এবং তার পা পিছনের দিকে বাঁকানো ছিল। এদিকে মুসকান ড্রাগ ইনজেকশন...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চৌধুরী চরণ সিং জেলা কারাগারে অন্যান্য বন্দীদের হাতে মার খাচ্ছে সাহিল শুক্লা। সৌরভকে খুন করার নৃশংস কাণ্ড জানার পর ক্ষুব্ধ বন্দীরা সাহিলকে আক্রমণ করে, বারবার চড় মারে এবং টেনে চুল খুলে দেয়।
এরপরেই সাহিলকে জেলের আদালা ব্যারাকে স্থানান্তরিত করতে হয়েছে। এদিকে সৌরভের স্ত্রী এবং সাহিলের সহ-অভিযুক্ত মুসকান যে মাদকের ইনজেকশন ব্যবহার করত তা একপ্রকার নিশ্চিত। তার হাতে সূচের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, মুসকান এবং সাহিল জেল জীবনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে লড়াই করছে। সাহিল এবং মুসকান জেলে বসে মাঝে মধ্যে টিভি দেখছে। পুলিস জানিয়েছে যে দু’জনেরই আচরণ প্রায় একই রকম!
জেল সূত্রে জানা গিয়েছে দুজনেরই তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে। "মুসকান এবং সাহিল ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না এবং খাবার ও জল খেতেও অস্বীকার করছে।" মাদকাসক্তির জেরে সাহিল এবং মুসকানকে প্রায় ১৫ দিন ধরে কাউন্সেলিং করা হবে।
সাহিল এবং মুসকানের জবানবন্দিতে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে যে তাঁরা ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত মাদক সেবন করছিলেন। শুকনো মাদকের পাশাপাশি তাঁরা ড্রাগ ইনজেকশনও নিতেন। স্কুলের এক রিইউনিয়নে মুসকানের সঙ্গে সাহিলের দেখা হয়।
পুলিস মুসকান এবং সাহিলকে রিমান্ডে নেবে না। এখন পুলিস দুজনকেই কারাগারেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এখনও পর্যন্ত পরিবারের কোনও সদস্য সাহিল এবং মুসকানের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। মুসকানের মা-বাবা মেয়ের হয়ে কেস লড়বেন না বলে জানিয়েছেন।
সিনিয়র জেল সুপার বীরেশ রাজ শর্মা বলেন, "সাহিল এবং মুসকান দুজনেই দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছে। ফলস্বরূপ, তারা অস্থিরতা অনুভব করছে এবং রাতে ঘুমাতে পারছে না।"