Mega-Tsunami: আসছে ভয়ংকর সুনামি। জাপানেও আসবে ভয়াবহ সুনামি। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাবে সুনামির কবলে পড়ে ক্রমশ ধ্বংস হয়ে যাবে বিশ্ব। এর পিছনে একটা ঘটনা আছে।
বিজ্ঞানীরা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ঘটে যাওয়া একটি অস্বাভাবিক ঘটনার ব্যাখ্যা করছেন এখন। বিশ্ব জুড়ে ভূমিকম্প-কেন্দ্রগুলি প্রতি ৯২ সেকেন্ডে কেঁপে ওঠে। এই স্থির স্পন্দন টানা ন'দিন ধরে স্থায়ী হয়েছিল। এক মাস পরে অল্প সময়ের জন্য ফিরেও আসে সেটি। মানুষের পক্ষে অনুভব করা এটা কঠিন। আলাস্কা থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত চলছে এই নীরব ধ্বংসলীলা। কিন্তু কীভাবে এই কম্পন এল? বিজ্ঞানীরা প্রথমে হতবাক হয়ে গেলেও পরে পূর্ব গ্রিনল্যান্ডের প্রত্যন্ত ডিকসন ফজর্ডে এর উৎস খুঁজে পান। ২০২৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এই অঞ্চলে ঘটে এক বিশাল প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সেদিন, ২৫ মিলিয়ন কিউবিক ফুটেরও বেশি পাথর এবং বরফ পাহাড়ের দিক থেকে ওউ ডিকসন ফজর্ডে ধসে পড়ে।
এর ফলে এক বিরাট সুনামির সূত্রপাত হয়। যার ঢেউ ৬৫০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছয়। ঢেউগুলি ফজর্ডের দুই মাইল করিডর ধরে ছড়িয়ে পড়ে, পাহাড়ের সঙ্গে ধাক্কা খায়, লাফিয়ে পড়ে। যার ফলে একটি দীর্ঘস্থায়ী ঢালু গতি তৈরি হয়।
জল একটি আবদ্ধ স্থানে বারবার দুলতে থাকে। বিপুল গতিতে তা এদিক-ওদিক যায়। পৃথিবীর ভূত্বকের মধ্য দিয়ে কয়েকদিন ধরে একটি কম-ফ্রিকোয়েন্সি ভূমিকম্পের শক্তি প্রেরণ করে।
তবে, ঘটনাচক্রে জানা গিয়েছে, ভয়ংকর বিপদ নেমে আসতে পারে জাপানের বুকে। ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে যেতে পারে সবকিছু। প্রবল সুনামির আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে পারে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এখন থেকেই নাগরিকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করলেন বিজ্ঞানীরা।
দেশের উত্তরের হোক্কাইদো দ্বীপটিই বিপর্যয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জাপানে দেশের নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে। ভূমিকম্প নিয়ে এই সতর্কতার পরে জাপানের পর্যটন ব্য়বসাতেও ভাঁটা পড়েছে বলে খবর।
জাপানে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে অবশ্য কয়েকমাস আগেই সতর্ক করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। গত ৩ জুন সেই নিয়ে নতুন ঘোষণা করেছিল হোক্কাইদো প্রদেশ সরকার। বলা হয়েছিল ৭ থেকে ৯ বা তারও বেশি তীব্রতায় ভূমিকম্প আছড়ে পড়তে পারে দ্বীপটিতে। সেই সঙ্গে তাণ্ডব চালাতে পারে সুনামি। যাতে জাপান সাগরের উপকূল এলাকার অন্তর্গত ৩৩টি পুরসভার প্রায় ৭৫০০ বাসিন্দার মৃত্যু হতে পারে।
এর মধ্যে বাবা ভাঙ্গার একটি ভয়াবহ ভবিষ্যদ্বাণী ফের সামনে এসেছে। যেখানে দু'মাস পরে বিশ্বব্যাপী বিপর্যয়ের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালে এমনিতেই বাবা ভাঙ্গার ভূমিকম্পের ভবিষ্যদ্বাণী প্রায় সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এর উপর যদি সুনামির আশঙ্কাও সত্য হয়, তবে তো আর দেখতে হবে না। মানবজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। ভয়ংকর!