১১ মে বিয়ে। ২০ মে মেঘালয়ে হানিমুনে যায় রাজা-সোনম। তারপরই নিখোঁজ হয়ে যায় নবদম্পতি। শুরু হয় ইন্দোরের নবদম্পতির খোঁজে তল্লাশি। শেষে খাদের মধ্যে মেলে রাজার দেহ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাড়হিম মেঘালয় হানিমুন হত্যাকাণ্ড। হানিমুনে গিয়ে সুপারি কিলার দিয়ে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুন!নৃশংস সেই হত্যাকাণ্ডের পরতে পরতে উন্মোচিত হয় রহস্য।
জানা যায়, প্রেমিক রাজের সঙ্গে শলাপরামর্শ করেই স্বামী রাজাকে খুন করে নববধূ সোনম। বেশ কিছুদিন আত্মগোপন করে থাকার পর শেষে উত্তরপ্রদেশ থেকে ধরা পড়ে সোনম।
প্রথমে খুনের কথা অস্বীকার করলেও, শেষে নিজের অপরাধ কবুল করে সে। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে একমাস। এই একমাস ধরেই জেলবন্দি সোনম। জেলে কীভাবে দিন কাটাচ্ছে সোনম? কী করছে স্বামীহন্তা 'নববধূ'?
জেল সূত্রে খবর, এই একমাসে সোনমের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি পরিবারের কেউ। আসলে রাজাকে খুনের দায়ে সোনম গ্রেফতার হতেই সোনমের পরিবারও এই জঘন্য অপরাধের জন্য মেয়ের পাশ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই এক মাসে জেলের আদবকায়দা ভালোই রপ্ত করেছে সোনম। কারাগারের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। মিশে গিয়েছে শিলং জেলের অন্য মহিলা বন্দিদের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে।
জেলে প্রতিদিন সকালে ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠে পড়ে সোনম। তারপর মেনে চলে জেলের সব নির্দেশিকা। যদিও আজ পর্যন্ত তাঁকে তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হতে দেখেননি কেউ।
জেলে আরও ২ বিচারাধীন মহিলা বন্দির সঙ্গে একসঙ্গে থাকে সোনম। সোনম হল কারাগারে ২০ জন মহিলা বন্দির মধ্যে দ্বিতীয় মহিলা বন্দি, যার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে।
সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে তার উপর সর্বদা নজর রাখা হয়। তবে স্বামীকে খুনের দায়ে ধৃত সোনম তার অপরাধ বা ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে সহ-বন্দি বা কারা প্রশাসনের কারও সঙ্গে কোনও কথা বলে না।
তার প্রতিদিন টিভি দেখার সুবিধা রয়েছে। সোনমকে এখনও পর্যন্ত জেলের ভিতরে কোনও বিশেষ কাজ দেওয়া হয়নি।