>Mermaid Babies, The Thalidomide Scandal: চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে এই কালো অধ্যায়কে "Biggest Anthropogenic Medical Disa...
এই 'সিরেনোমেলিয়া' শিশুর নিম্নাঙ্গের গঠন ঠিকমতো হয় না। যা ওই সদ্যোজাতের জন্য 'মারণ' হয়ে ওঠে। বেশিরভাগ 'সিরেনোমেলিয়া' শিশু-ই অস্ত্রোপচারের পরেও বাঁচে না। পৃথিবীতে একমাত্র দীর্ঘকালীন সময় বেঁচে থাকা 'সিরেনোমেলিয়া' শিশু হচ্ছেন টিফানি ইয়োর্কস।
প্রধানত গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস মেলিটাস, অত্য়ধিক হারে তামাক সেবন, রেটিনোয়িক অ্যাসিড ও ধাতব কণার সংস্পর্শে আসা-ই ডেকে আনে গর্ভস্থ সন্তানের বিপদ। যা বাড়িয়ে তোলে গর্ভস্থ সন্তানের সিরেনোমেলিয়া সিনড্রোমের ঝুঁকি।
Thalidomaide (থ্যালিডোমাইড) বলে এক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় প্রায় ২০ হাজার 'সিরেনোমেলিয়া' বা মৎস্যশিশুর জন্ম হয়। যার ৪০ শতাংশ মানে ৮০০০ শিশু জন্মের পরই মারা যায়। আর বাকিরা হাত, চোখ, মূত্রনালী ও হার্টের গঠনে অস্বাভাবিকরকম ত্রুটি নিয়ে বেঁচে থাকে।
১৯৫০-এর শেষ থেকে ১৯৬০-এর শুরু পর্যন্ত মোট ৪৬টি দেশে গর্ভবর্তী মহিলাদের Thalidomaide দেওয়া হত। যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতে ভয়ংকর গঠনগত ত্রুটি নিয়ে জন্ম হয় শিশুদের।
পাশাপাশি এই থ্যালিডোমাইডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ডিসমেলিয়া (ভ্রূণের মতো গঠন), অ্যামেলিয়া (অঙ্গহীনতা), বোনস হাইপারইস্টিসিটি-র মতো জন্মগত ত্রুতিও ঘটে। সেইসঙ্গে হাজার হাজার মিসক্যারেজের ঘটনাও ঘটে।
১৯৫৭ ট্রানকুইলাইজার হিসেবে Thalidomaide প্রথম চালু হয়। পরবর্তীতে জার্মান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি কেমি গ্রুনেনথাল এটিকে কনটারগান নামে গর্ভবতী মহিলাদের উদ্বেগ , ঘুমের সমস্যা , উত্তেজনা ও মর্নিং সিকনেসে বমি বমি ভাবের চিকিৎসার জন্য মার্কেটিং করে।
সেই বছরই ইউরোপের বাজার থেকে ওষুধটি সরিয়ে ফেলা হয়। পরবর্তীতে Thalidomaide বিপর্যয়ে মৃত শিশুদের উদ্দেশে ওয়েলসের কার্ডিফে একটি সৌধও নির্মাণ করা হয়।