দুড়ের শরীরে পাওয়া গিয়েছে নতুন ভাইরাস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের সঙ্গে জিনগত মিল রয়েছে, সেক্ষেত্রে সামান্য় অভিযোজ...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের অতিমারি? লকডাউন? চিনা বাদুড়ে হদিশ মিলেছে এক নয়া ভাইরাসের। যা অনেকটা কোভিডের মতোই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাইরাস থেকে আপাতত কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে যেহেতু করোনাভাইরাসের সঙ্গে জিনগত মিল রয়েছে, সেক্ষেত্রে সামান্য় অভিযোজনেই বিপদজ্জনক হয়ে ওঠতে পারে নয়া ভাইরাসটি।
অতীতে বহুবারই অতিমারীর সতর্কতা জারি করেছেন বিশেষজ্ঞরা, তবে সৌভাগ্যবশত বেশিরক্ষেত্রেই তা বাস্তবায়িত হয়নি। এবার কী হবে? চিনে বাদুড়ে শরীরের নয়া ভাইরাসে কিন্তু উদ্বেগ বাড়ছে।
নাম, HKU5-CoV-2। পাঁচ বছরে আগে যে ভাইরাসে অতিমারি কবলে পড়েছিল গোটা বিশ্ব, সেই করোনাভাইরাসের সঙ্গে এই ভাইরাস জিনগত মিল রয়েছে। এতটাই যে, ফের অতিমারির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
গবেষকরা জানিয়েছে, এই HKU5-CoV-2 পাওয়া গিয়েছে বাদুড়ের শরীরে। এখনও পর্যন্ত মানুষের শরীরকে অবশ্য এই ভাইরাসটি সংক্রমিত করতে পারেনি। MERS ভাইরাসের চরিত্রগত যা মিল, তাতে প্রমাদ গুনছেন বিজ্ঞানীরা।
ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, HKU5 ভাইরাসের এখনও পর্যন্ত মানব শরীরের প্রবেশ করতে সংক্রমণ ঘটানোর ক্ষমতা নেই। তবে যদি ভাইরাসটি বাদুড় থেকে কোনও প্রজাতির প্রাণীর শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে অভিযোজিত হবে এবং মানুষকে সংক্রামিত করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। আর বিপদে সেখানেই!
আমেরিকার ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মাইকেল লেটকো জানিয়েছে, 'HKU5 ভাইরাস সচরাচর দেখা যায়নি। তবে এই ভাইরাস যে মানব দেহে কোষকেও সংক্রমিত করতে পারে, তা পরীক্ষায় দেখা দিয়েছে'। বস্তুত, 'ভাইরাসটি মানব দেহে ছড়িয়ে পড়া থেকে মাত্র এক ধার দূরে রয়েছে'।
আতঙ্ক নয়, বরং সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছে, 'কোভিড ছিল এই শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ অতিমারী। কিন্তু এই তার মানে এই নয় যে, আরও একটি অতিমারী আসতে চলেছে'। বলা হচ্ছে, এই ধরণের গবেষণা 'সঠিক দিকে পদক্ষেপ' মাত্র।