Sanjay Roy's Mother on Conviction: গত বছর, ২০২৪ সালে ৯ অগস্ট আর জি করে ডিউটি-রত ডাক্তারি ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুন-কাণ্ডে সঞ্জয় রায়কে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তার পর সময় অনেকটা গড়িয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ঘটেছে নানা কিছু!
পাঁচ মাসের বেশি বা ১৬২ দিনের মাথায় সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হল। আরজি করে অভয়ার খুন ও ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হল সঞ্জয় রায়। দোষী সাব্যস্ত করল শিয়ালদহ আদালত। শনিবার বিচারক অনির্বাণ দাস এই রায় দিলেন। শনিবার দুপুর ২টো ৪৪ মিনিটে কাঠগড়ায় নিয়ে আসা হয়েছিল সঞ্জয়কে।
আরজি কর কাণ্ডের তদন্তকারী থেকে মনস্তত্ত্ববিদ-- সকলে একটি বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছিলেন যে, ধৃত সঞ্জয় বিকৃত যৌনতায় আক্রান্ত। চিকিৎসাবিজ্ঞান থেকে অপরাধবিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলে, 'সেক্সুয়ালি পারভারটেড'। সিবিআইও জানিয়েছিল, সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসাবাদের গোটা পর্বেই সে ছিল আবেগশূন্য, অনুশোচনার বিন্দুমাত্রও তার মধ্যে দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, ঘৃণ্য এই অপরাধের বর্ণনা সে নিজেই দিয়েছিল।
আরজি কর কাণ্ডে ঘটনার যে অভিঘাত, তাতে কোথাও সঞ্জয়ের জন্য বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখা যায়নি, থাকার কথাও নয়। কেননা, অভয়ার প্রতি ঘৃন্য আচরণ করা হয়েছিল। সারা রাজ্য, সারা দেশ এর সুবিচার চেয়েছে।
কিন্তু পরিবার? সারা দেশ সঞ্জয়ের কঠোর শাস্তি চাইলেও তার পরিবারের মনোভাব কী? ঘরের ছেলে এরকম কিছু হলে, ন্যায় বা সত্যের চেয়েও তো তাঁদের আবেগ বড় হওয়ার কথা। তাঁদের তো খারাপ লাগার কথা!
কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সঞ্জয়ের পরিবারের মনোভাব উল্টো। সঞ্জয়ের সাজা হলে হোক, এমনই বলেছেন, স্বয়ং সঞ্জয়ের মা। সঞ্জয়ের সত্তর বছরের বৃদ্ধা মা বলেছেন, তিনি একা-একা কাঁদবেন!
শুধু তাই নয়, সঞ্জয়ের সত্তর বছরের বৃদ্ধা মা বলেছেন, 'তিন মেয়ের মা হিসেবে তিনি বুঝতে পারছেন নির্যাতিতার মায়ের মনের কী অবস্থা! যদি কোর্ট ওকে (সঞ্জয়কে) ফাঁসি দেয়, আমি কোনও ভাবেই আপত্তি তুলব না, যেহেতু আমি জানি, আইনের চোখে ওর অপরাধ প্রমাণিত। আমি হয়তো একা-একা কাঁদব, কিন্তু একে আমি নিয়তি বলেই মেনে নেব!'