National tennis player Radhika Yadav shot dead: নিজেই মাসে ১৫-১৭ লাখ টাকা কামাত সন্তানহন্তা বাবা দীপক। তাহলে কেন তাকে কেউ মেয়ের টাকায় খাওয়া নিয়ে কথা শোনাবে? মেয়েকে টেনিস শেখানোর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিল দীপক, এমনটাই চাঞ্চল্যকর দাবি যাদব পরিবারের এক ঘনিষ্ঠের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাবার হাতে মেয়ে খুন! রাধিকা যাদব খুনে উত্তাল গোটা দেশ। টেনিস তারকা খুনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিসের জেরায় মেয়েক খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত বাবা।
এবার জানা যাচ্ছে, রাধিকার খুনি বাবা নিজে মাসে ১৫ থেকে ১৭ লাখ টাকা উপার্জন করত। এমনকি গুরগাঁওয়ে তার একটি বিলাসবহুল ফার্মহাউস আছে।
এছাড়াও দীপক যাদবের কাছে একটি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র-সহ অন্যান্য সম্পদ রয়েছে।
দীপকের এক পরিচিত যিনি ওয়াজিরাবাদ গ্রামে থাকেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, গুরগাঁওয়ে অনেক সম্পত্তির মালিক ছিল দীপক। মাসে সে ১৫ থেকে ১৭ লাখ টাকা আয় করত। এমনকী গোটা গুরগাঁও জুড়ে দীপকের বেশ কয়েকটি ভাড়া দেওয়ার সম্পত্তি রয়েছে। তার একটি বিলাসবহুল ফার্মহাউস আছে, এবং এলাকাবাসী সবাই জানে যে সে ধনী।
নিজের মেয়েকে খুন করতে দীপক বৈধ .৩২ বোর রিভলবার ব্যবহার করে। ওই আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে পরিচিত ব্যক্তি বলেন, 'এমন লাইসেন্স পেতে সঠিক সংযোগ এবং অনেক টাকা লাগে। সাধারণ মানুষ এ ধরনের লাইসেন্স রাখে না।'
রাধিকার বাবা পুলিসকে জানায়, রাধিকার আর্থিক স্বাধীনতা, ইনস্টাগ্রাম রিলস এবং একটি মিউজিক ভিডিয়ো সে মেনে নিতে পারছিল না। যার জন্য সে রেগে গিয়েছিল। সে আরও বলে, এলাকাবাসীরা তাকে কটাক্ষ করত যে সে মেয়ের টাকায় বসে বসে খাচ্ছে। এমনকী রাধিকাকে তার টেনিস অ্যাকাডেমি বন্ধ করতে বলা সত্ত্বেও মেয়ে শোনেনি।
কিন্তু দীপকের এইসব দাবিকে অস্বীকার করেছেন ওই পরিচিত ব্যক্তি। তিনি বলেন, 'এত টাকার মালিক হলে, গ্রামে কে বলবে যে সে মেয়ের টাকা খাচ্ছে! দীপক একজন অভিজাত মানুষ। সে নিজের পড়াশোনা ছেড়ে মেয়েকে টেনিস শেখানোর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিল। মেয়ের জন্য ২ লাখ টাকার টেনিস র্যাকেট কিনেছিল। সে মেয়েকে খুব ভালোবাসত। খুনের পিছনে হয়তো অন্য কোনও কারণ রয়েছে। টেনিস বা অ্যাকাডেমি নয়!'
গুরগাঁওয়ের সেক্টর ৫৭-এ রাধিকা নিজের টেনিস অ্যাকাডেমি খুলেছিল। সেটা চালু হওয়ার পর থেকেই দীপকের মেয়ের প্রতি অসন্তোষ ও ঈর্ষা বাড়ছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের।
রাধিকা তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে সেক্টর ৫৭-রই একটি দুই তলা বাড়িতে থাকতেন। তাঁর কাকা কুলদীপ যাদব নিজের পরিবার নিয়ে নিচতলায় থাকেন।
FIR অনুযায়ী, ঘটনার সময় কুলদীপ একটি জোরালো শব্দ শুনে দৌড়ে প্রথম তলায় যান এবং রান্নাঘরে রাধিকাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। আগ্নেয়াস্ত্রটি ড্রয়িং রুমে পাওয়া যায়। কুলদীপ ও তাঁর ছেলে পিউষ সঙ্গে সঙ্গে রাধিকাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান সেক্টর ৫৬-র এশিয়া মারিংগো হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।