Gopalpur Crime: সমুদ্র সৈকতে পুরুষ বন্ধুকে আটকে রেখে পালাক্রমে তরুণীকে ধর্ষণ। ওড়িশার ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। ইতোমধ্যে গ্রেফতার ১০ অভিযুক্ত। তাদের ৪ জন নাবালক।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাড়হিম গোপালপুর। ২০-র তরুণীকে সমুদ্র সৈকতে গণধর্ষণ। রবিবার রাতে রাজা উত্সবের সময় নির্যাতিতা তাঁর সহপাঠীর সঙ্গে সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানেই ১০ বর্বর মিলে তার ওই পুরুষ বন্ধুকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা গোপালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরই এই খবর প্রকাশ্যে আসে।
মঙ্গলবার পুলিস জানিয়েছে, ১০ অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে ৪ জন নাবালক।
পুলিস সূত্রে খবর, ১০ বর্বর মিলে তার বন্ধুকে আটকে রাখে। তারপর নির্জন স্থানে গিয়ে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। তারপর নির্যাতিতা এবং তার বন্ধুর থেকে অনলাইনে টাকা আদায় করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। এই ঘটনাকে তিনি মানবতা বিরোধী অপরাধ বলেছেন। এবং অভিযুক্তদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে লেখা, 'কোনও অপরাধীকে রেহাই দেওয়া হবে না। আইন অনুসারে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে।'
ওড়িশার ডিজিপি ওয়াইবি খুরানিয়া তদন্তটি সিআইডির নারী ও শিশু বিরোধী অপরাধ (সিএডব্লিউ এবং সিডব্লিউ) শাখার কাছে হস্তান্তর করেছেন এবং এটিকে 'রেড ফ্ল্যাগ কেস' হিসেবে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তটি এখন আইজি শাইনি এস-এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে চলছে।
অন্যদিকে, জাতীয় নারী কমিশন (NCW) নিজে থেকেই এই ঘটনার বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। এবং ওড়িশার ডিজিপিকে তিন দিনের মধ্যে পদক্ষেপ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে NCW জানিয়েছে, 'BNSS-এর ধারা ৩৯৬ অনুযায়ী ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।'
বহরমপুর পুলিস সুপার সারবণা বিবেক এম জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৭ বছর বয়সী ৪জন নাবালক আছে। অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জন তরুণীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। আর বাকি ৭ জন তার পুরুষ সঙ্গীকে ধরে রেখে তাদের সাহায্য করে।
এসপি আরও জানিয়েছেন, দুই অভিযুক্ত বেঙ্গালুরু ও সুরাত পালানোর চেষ্টা করার সময় ধরা পড়েছে।