India surgical strike history: পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি উঠেছিল। মোদী-শাহ জানিয়েছিলেন, সঠিক সময়ে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। জঙ্গি দমনে যেকোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ৩ সেনাপ্রধানকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অমিত শাহ হুংকার দেন, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা হবে। দফায় দফায় মোদী-ডোভাল বৈঠক। তৈরি হচ্ছিল স্ট্র্যাটেজি। কোন পথে আক্রমণ, কোন পথে পাকিস্তানকে জবাব...
India Pakistan Tensions: পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসে ভারত বার বারই রক্তাক্ত হয়েছে। ২০০১ সালে সংসদ ভবনে হামলা থেকে ২০০২-এ অক্ষরধাম হামলা, ২০০৮-এ মুম্বই হামলা, ২০১৬-তে উরি হামলা, ২০১৯-এ পুলওয়ামা হামলা আর তারপর ২০২৫-এ ভয়াবহ পহেলগাঁও হামলা।
সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের মাটিতে ভারত প্রথম সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ২০১৬-র ২৯ সেপ্টেম্বর। ২০১৬-র ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মু ও কাশ্মীরের উরি সেকটরে ভারতীয় সেনা ক্যাম্পে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ১৯ জন জওয়ান শহিদ হন। এই হামলার ঠিক ১১ দিন পর ২৯ সেপ্টেম্বর, ভারতীয় সেনাবাহিনী পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৭টি জঙ্গিডেরায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে রাতের অন্ধকারে।
২০১৯-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা ঘটে। শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। তদন্তে উঠে আসে জইশ-ই-মহাম্মদ এর পিছনে দায়ী। এই হামলার ১২ দিন পর ২৬ ফেব্রুয়ারির সকালে ভারতীয় বায়ুসেনা মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান নিয়ে সরাসরি পাকিস্তানে প্রবেশ করে ও পুলওয়ামা হামলায় অভিযুক্ত জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বালাকোটে হামলা চালায়।
এবার পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের প্রত্যাঘাত 'অপারেশন সিঁদুর'! ৭ মে রাত পৌনে ২টো। ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনা নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানল পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লস্কর ও জইশের ৯টি ডেরায়। অত্যাধুনিক স্কাল্প মিসাইল, হ্যামার বোমা ও কামিকাজ ড্রোন ব্যবহার করে গুঁড়িয়ে দেয় সমস্ত জঙ্গি ডেরা। যারমধ্যে রয়েছে লস্করের সদর দফতরও। খতম জঙ্গি নেতা মাসুদ আজহারের পরিবার, নিহত জঙ্গি আদিল আহমেদও।
২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বইয়ের তাজ হোটেল, ছত্রপতি শিবাজী রেলস্টেশন, ওরিয়েন্ট হোটেল সহ একাধিক জায়গা জঙ্গিরা হামলা চালায়। জলপথে ভারতে ঢুকে মুম্বইয়ের প্রায় ১০ জায়গায় তাণ্ডব চালায় জঙ্গিরা। পণবন্দি করে রাখে। ২৬ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত এই হামলা চলে। হামলায় ১৬৪ জন নিহত ও কমপক্ষে ৩০৮ জন আহত হন। এই হামলায় একমাত্র জীবিত জঙ্গি হিসেবে ধরা পড়ে আজমল কাসভ। ২০১২-র ২১ নভেম্বর সকালে আজমল কাসভের ফাঁসি কার্যকর হয়।