Terror Attack on Tourists at Pahalgam: গোয়েন্দাদের নজরে এসেছে, এক দোকানদার ঘটনার দিন দোকান খোলেননি পহেলগাঁওয়ে। কেন? ন্যাশনাল ইনভেস্টেগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-এর সদস্যরা এখন সেই বিষয়টিরই তদন্তে নেমেছেন।
গোয়েন্দাদের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Terror Attack) এক দোকানদার। কেন প্রশ্নের মুখে পড়তে হল? কারণ, তদন্তে নেমে গোয়েন্দাদের নজরে এসেছে একটি বিশেষ ব্যাপার। ঘটনার দিনে, মানে, ওই ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের (Terror Attack on Tourists at Pahalgam) বৈসরনে এক দোকানদার তাঁর দোকান খোলেননি।
হঠাৎ করে কেন তিনি তাঁর দোকান খোলেননি? সেটাই তদন্ত করে দেখছে গোয়েন্দারা (NIA)
গোয়েন্দাদের নজরে এসেছে, যে, একজন দোকানদার ১৫ দিন আগে তাঁর দোকান খুলেছিলেন। কিন্তু ঘটনার দিন তিনি দোকান খোলেননি। ন্যাশনাল ইনভেস্টেগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-এর সদস্যরা বিষয়টির তদন্তে নেমেছেন।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহামলায় ২৬ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। ঘটনার পরে শুধু কাশ্মীরে নয়, সারা দেশে সাড়া পড়ে যায়। ক্রমে বিষয়টি আন্তর্জাতিক উদ্বেগের বিষয়ও হয়। এনআইএ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার তদন্তে নেমে পড়ে।
তদন্ত করতে নেমে তারা অন্তত ১০০ স্থানীয় বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আর সেটা করতে গিয়েই ওই বিশেষ একটি দোকানের খবর কানেো আসে তাদের। তখনই তারা বিষয়টি নিয়ে একটু অন্য ভাবে তদন্ত শুরু করে দেন।
লোকটিকে ট্রেস করা গিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। দেখা হচ্ছে, তাঁর ইন্টারনেট প্রোটোকল ডিটেইলস। যদি কোথাও কোনও তথ্য থেকে থাকে।
এনআইএ একটি তালিকা বানিয়েছে। সেই তালিকা মূলত স্থানীয়দের। প্রকারান্তরে সেই তালিকাটা সন্দেহভাজনদেরও। গোয়েন্দারা দেখছেন, অভিশপ্ত সেই দিনে অকুস্থলে বা অকুস্থলের নিকটস্থ এলাকায় কাদের কাদের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা ছিল, কারা কারা ছিল এবং কারা ছিলেন না।
সেই কাজের সূত্রেই ১০০ জনের নামের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
ঘোড়া বা খচ্চরের মালিকেরা, দোকানদারেরা, ফোটোগ্রাফাররা, এবং বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে যুক্ত লোকজন।
এঁদের থেকে বিভিন্ন রকম তথ্য সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দারা। আর এভাবেই আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে পহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্ত।