Deadliest Terror Attacks in Kashmir: পহেলগাঁও এলাকায় পর্যটকদের ভিড়ে মিশে ছিল জঙ্গিরা। পর্যটকদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তারা। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী মোট মৃত্যু ২৬। আহত ১২। এঁদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পহেলগাঁও এলাকায় পর্যটকদের ভিড়ে মিশে ছিল জঙ্গিরা। পর্যটকদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তারা। গুলিবিদ্ধ ৭ পর্যটকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। গোটা এলাকা ঘিরে শুরু হয় অভিযান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসেন। প্রধানমন্ত্রী সৌদিতে গিয়েছেন। উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী সফর কাটছাঁট করে তড়িঘড়ি দেশে ফিরছেন।
পাকিস্তানের 'লস্কর-ই-তৈবা' জঙ্গি গোষ্ঠীর একটি শাখা সংগঠন 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট' বা 'টিআরএফ'-এর কাজ বলে জানা গিয়েছে এটিকে।
কিন্তু এটাই তো কাশ্মীরের একমাত্র জঙ্গিহানা নয়। কাশ্মীরে বহুবার আরও ভয়ংকর রকম জঙ্গিহানা ঘটেছে। যেমন ২০২৪ সালের ৯ জুন জম্মুর রিয়াসি জেলায় ঘটা এক জঙ্গিহানায় অন্তত ১০ জন মারা গিয়েছিলেন, আহত হয়েছিলেন ৩৩ জন!
এই অক্টোবরেই আর একটি ঘটনায় নিহত হন এক ডাক্তার-সহ ৬ পরিযায়ী শ্রমিক। এটি গান্ডেরবাল অ্যাটাক নামে পরিচিত।
তবে সাম্প্রতিক কালে সব থেকে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ঘটেছে ২০০০ সালে। অনন্তনাগের চিত্তিসিংপুরায়। মোট ৩৬ জন শিখের মৃত্যু হয় ২০ মার্চে। বিল ক্লিন্টন ভারতে আসার ঠিক আগে-আগে এটি ঘটেছিল।
তবে সাম্প্রতিক কালে যে জঙ্গিহানা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলেছে সেটা হল ২০১৯ সালের পুলওয়ামা অ্যাটাক। ২০১৯ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারিতে ৪০ জন সিআরপিএফ মারা গিয়েছিলেন এই হানায়।
মোটামুটি হিসেব বলছে, গত ২০০০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কাশ্মীরের মাটিতে ঘটা বিভিন্ন ধরনের জঙ্গিহানায় মোট মারা গিয়েছেন ২০১ জন। এর মধ্যে অমরনাথ যাত্রীদের উপরই যে কতবার হামলা হয়েছে! ২০০০ সালে (৩২), ২০০১ সালে (১৩), ২০০২ সালে (১১) এবং ২০১৭ সালে (৮)! মোট ৬৪ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু!