PHOTOS

Children Locked: ভয়াবহ নির্মমতা! করোনা অতীত, কিন্তু লকডাউনের অভিশাপে ধ্বস্ত ৩ শিশু! টানা ৪ বছর অন্ধকারবন্দি জীবন...

Children locked inside house: পুলিস সেই বাড়িটিকে 'হাউস অফ হরর' নাম দিয়েছে। তিন শিশুকে সেই বাড়ি থেকে উদ্ধার করার পর চিকিৎসা মূল্যায়নের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারপর কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হেফাজতে পাঠানো হয়।

 

Advertisement
1/7

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কোভিডের সেই ভয়াবহ সালটা গোটা বিশ্বের কাছে যেন এক দুঃস্বপ্নের মত। লকডাউন, মৃত্যু, নিজের কাছের মানুষদের হারানো সে যেন এক নিরুপায় পরিস্থিতি। সবসময় মাস্ক পরে চলাফেরা করতে হয়েছিল সকলকেই। 

2/7

মহামারীর সেই বিধিনিষেধ কেটে বর্তমানে সব কিছুই এখন স্বাভাবিক। কিন্তু এখনও কিছুজন সেই ভয়াবহতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। শুধু তাই নয়, যার কারণে তারা ঘটিয়েছেন ভয়ংকর কাণ্ড।

3/7

মহামারী বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার পরও তিন শিশুকে বছরের পর বছর ধরে ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত তাদেরই বাবা-মা। জানা গিয়েছে, স্পেনে তিন জার্মান শিশুকে লকডাউনের পর থেকে তার বাবা-মা ঘরে আটকে রেখেছিল। ইতোমধ্যেই পুলিস তাদের উদ্ধার করেছে।

4/7

পুলিস সূত্রে খবর, কোভিডের পর শিশুদের বাবা-মা  ৮ বছর বয়সী যমজ এবং ১০ বছর বয়সী এক ভাইবোনকে তিন বছর ধরে ঘরে আটকে রেখেছিলেন। সোমবার স্পেনের ওভিডোর একটি বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় এবং তাদের বাবা-মাকে গ্রেফতার করা হয়।

5/7

আরও জানা গিয়েছে, ২০২১-র থেকে শিশুরা ঘরের ভিতরে বদ্ধ অবস্থায় ছিল। প্রতিবেশীরা বাড়িতে থাকা শিশুদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করার অভিযোগ দায়ের করার পর স্পেনের পুলিস তদন্ত শুরু করে।

 

6/7

২৮ এপ্রিল পুলিস তাদের বাড়ি এসে পৌঁছায়। তখন বাচ্চাদের মা অফিসারদের সাবধান থাকতে বলে জানায় যে, তার বাচ্চারা খুবই অসুস্থ। পুলিস তাদের বাড়ির ভিতর ঢুকে দেখতে পায় যে সেখানে আবর্জনা, প্রচুর পরিমাণে ওষুধ, মুখোশ এবং অন্যান্য জিনিসপত্রে ভরা। তিন শিশুকে ক্রিবে(বাচ্চাদের ঘুমানোর জায়গা) ঘুমোচ্ছিল।

7/7

একজন পুলিস অফিসার জানিয়েছে, বাচ্চাদের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। যা একেবারেই ভয়াবহ। তাদের সঠিক পরিমাণে খেতে দেওয়া হত, শরীরে পুষ্টির অভাব ছিল না। কিন্তু তারা খুবই অপরিষ্কার অবস্থায় ছিল। এবং বাস্তব দুনিয়ার সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ ছিল না। এমনকি বাচ্চাদের যখন বাগানে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তারা সামান্য শামুক দেখে আঁতকে ওঠে। অন্যদিকে, তাদের বাবা-মা, ৪৮ বছর বয়সী একজন জার্মান-আমেরিকান মহিলা এবং তার ৫৩ বছর বয়সী জার্মান স্বামীকে পারিবারিক সহিংসতা এবং সন্তান পরিত্যাগের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।





Read More