Storm Alert: ধেয়ে আসছে একসঙ্গে চার ঝড়। আর তাতেই আতঙ্কে কাঁপছে সবাই। একইসঙ্গে সাগরে তৈরি হয়েছে চারটি ঘূর্ণিঝড়। কবে কখন কোথায় আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কিছুদিন আগেই ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়েছিল ফিলিপাইন। ফের পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হয়েছে চারটি ঘূর্ণিঝড়।
এই চারটি ঘূর্ণিঝড়ই ধেয়ে যাচ্ছে ফিলিপাইন উপকূলের দিকে।জাপানের আবহাওয়া সংস্থা মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সিএনএনকে নিশ্চিত করেছে যে ১৯৫১ সালের পর থেকে নভেম্বরে একই সময়ে চারটি ঝড় দেখা যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিরল এই ঘটনা ঘটছে। ঝড়ে জেরবার ফিলিপাইনের জন্য আরও বড় দুর্ভোগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, ভিয়েতনাম থেকে গুয়াম পর্যন্ত বিস্তৃত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এই চারটি ঝড় অবস্থান করছে।
ঝড়গুলো হলো ‘টাইফুন ইয়িনঝিং’, ‘টাইফুন তোরাজি’, ‘ট্রপিক্যাল স্টর্ম উসাগি’ এবং ‘ট্রপিক্যাল স্টর্ম মান-ই’। ফিলিপাইনে প্রতিবছরই একাধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।
গত বৃহস্পতিবার টাইফুন ইয়িনঝিং উত্তর-পূর্ব ফিলিপাইনে আঘাত হানে, যা ছিল ক্যাটাগরি ৪ আটলান্টিক হারিকেনের সমান। ঝড়টি ব্যাপক বৃষ্টিপাত, জলোচ্ছ্বাস এবং ভূমিধস ঘটে।
টাইফুন ইয়িনঝিং ফিলিপাইন থেকে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে অগ্রসর হয়ে হাইনান প্রদেশের ওপর দিয়ে ভিয়েতনামের দিকে চলে যায়।
টাইফুন ইয়িনঝিং-এর পরপরই লুজোন দ্বীপের অরোরা প্রদেশে আঘাত হানে টাইফুন তোরাজি, যা ক্যাটাগরি ১ আটলান্টিক হারিকেনের সমতুল্য। তোরাজি এখন দুর্বল হয়ে ক্রান্তীয় ঝড়ে পরিণত হয়েছে এবং দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
ট্রপিক্যাল স্টর্ম উসাগি লুজোনের প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থান করছে। ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ এটি একটি টাইফুনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চতুর্থ ঝড়টি হলো ট্রপিক্যাল স্টর্ম মান-ই, যা বর্তমানে গুয়ামের রোটা থেকে প্রায় ৪৩০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান করছে। মান-ই পশ্চিমে অগ্রসর হতে থাকবে। শুক্রবার সকালে সেটি টাইফুনে পরিণত হতে পারে। আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে উত্তর-পূর্ব ফিলিপাইনে মান-ই আঘাত হানতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলগুলোর একটি হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। অঞ্চলটি উষ্ণ সমুদ্র এবং প্রবল ঝড়ের মতো চরম আবহাওয়ার সম্মুখীন হচ্ছে। সমুদ্রের তাপমাত্রা অতীতের তুলনায় বেশি উষ্ণ, যা ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বৃদ্ধির বড় কারণ।
জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বছরের শেষের দিকে এমন তীব্র ঝড়ের ঘটনা আরো বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন তারা।