দ্বিতীয় জীবন পেলেন নরি কন্ট্রাক্টর।
১৯৬২ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দ্বিতীয় টেস্ট হারের পর বার্বাডোজের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ভারত। ব্যাট করার সময় চার্লি গ্রিফিতের বাউন্সারে মাথায় চোট পান নরি কন্ট্রাক্টর। সেই সময় হেলমেট পরার চল ছিল না। চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে, প্রাণ বাঁচাতে মাথায় সেই দেশেই বেশ কয়েকটা অস্ত্রোপচার করাতে হয় কন্ট্রাক্টরকে। এরপর দেশে ফেরার পর তামিলনাড়ু হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মাথায় প্লেট বসানো হয়।
চার্লি গ্রিফিতের বাউন্সারে সেই জরালো বাউন্সারের জেরে নরি কন্ট্রাক্টরের কেরিয়ার শেষ হয়, আর তাকে ভারতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হয়নি। যদিও ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৯৭০-৭১ মরশুম অবধি খেলে গিয়েছেন।
চোটের জায়গায় যাতে ভবিষ্যতে কোনও ক্ষত না হয়, তাই একটি টাইটেনিয়াম প্লেট বসানো হয় প্রাক্তন তারকার খুলিতে। এতদিন সেটিই বয়ে বেড়াচ্ছিলেন কন্ট্রাক্টর। অবশেষে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে দূরে রাখতেই ডাক্তাররা টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ককে টাইটেনিয়াম প্লেটটি বার করে দেওয়ার পরামর্শ দেন।
দীর্ঘ ৬০ বছর পরে আক্ষরিক অর্থেই মাথা থেকে বোঝা নামল টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক নরি কন্ট্রাক্টরের। ছয় দশক আগে প্রাণ বাঁচাতে খুলিতে বসানো হয়েছিল ধাতব পাত। অবশেষে এতদিন পরে সেটি অস্ত্রোপচার করে বার করে দেওয়া হল প্রাক্তন ক্রিকেটারের মাথা থেকে।
মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচারে ৮৮ বছর বয়সী কন্ট্রাক্টরের মাথা থেকে টাইটেনিয়াম প্লেটটি বার করে দেওয়া হয়। কন্ট্রাক্টরের ছেলে হোশেদার এক ঘণ্টার অস্ত্রোপচার সফল হওয়ার কথা জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। সেই সঙ্গে এও জানিয়েছেন যে প্রাক্তন অধিনায়কের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন।
১৯৫৫ থেকে ১৯৬২ পর্যন্ত ভারতের হয়ে ৩১টি টেস্ট খেলেছেন নরি কন্ট্রাক্টর। রান ১৬১১। সর্বোচ্চ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১০৮ রান। গড় ৩১.৫৮। সঙ্গে রয়েছে ১টি শতরান ও ১১টি অর্ধ শতরান।