PHOTOS

Top 10 bridges of India: ৫৬ হাজার হাতির সমান লোহা! সব ইস্পাত তার জুড়লে দৈর্ঘ্যে পৃথিবীর পরিধি সমান! ভারতের অসাধারণ সব ব্রিজ... দেখুন ছবি...

Top 10 bridges of India: ভারতে আছে এমন সব ব্রিজ, যার স্থাপত্যশৈলী তাক লাগানো। বিশ্বের কাছে চমক সেই সব ব্রিজ।

Advertisement
1/10
চেনাব ব্রিজ
চেনাব ব্রিজ

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিরঙ্গা উড়িয়ে কাশ্মীরের চেনাব রেলব্রিজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চেনাহ সেতুতে তিরঙ্গা উড়িয়ে পাকিস্তানকে 'সিঁদুরে' বার্তা দিয়েছেন মোদী। ভূমিকম্প-বিস্ফোরণেও অটল থাকবে এই চেনাব সেতু! এই সেতুতে ২৬o কিমি প্রতি ঘণ্টায় ছুটবে বন্দে ভারত। ১৩১৫ মিটার দীর্ঘ এই চেনাব সেতু তৈরি হয়েছে ১৪৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে। আইফেল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু এই সেতু ২৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল সংযোগ প্রকল্পের অংশ।

2/10
বান্দ্রা-ওরলি সি লিংক
বান্দ্রা-ওরলি সি লিংক

 বান্দ্রা-ওরলি সি লিংক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্যতম সেরা উদাহরণ। ৫.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর মাধ্যমে বান্দ্রা থেকে ওরলি মাত্র ১০ মিনিটে যাওয়া যায়। আগে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগত ১ ঘন্টা। ১,৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতু ৮ লেনের। ৫৬ হাজার হাতির ওজনের সমান লোহা ও কংক্রিট দিয়ে নাকি তৈরি হয়েছে এই বান্দ্রা-ওরলি সি লিংক! বলা হয়, এই সেতুর সমস্ত ইস্পাত তার যদি একসঙ্গে যোগ করা হয়, তাহলে তা দৈর্ঘ্যে পৃথিবীর পরিধির সমান হবে!

3/10
পাম্বান সেতু
পাম্বান সেতু

পাম্বান সেতু ভারতের প্রথম ভার্টিকাল লিফট সেতু। রামেশ্বরমের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে এই রেল সেতু। ২.০৮ কিলোমিটার লম্বা এই সেতু সমুদ্রের উপর ১০০টি খিলানের উপর তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে একদম মাঝখানে খিলানটি ৭২.৫ মিটার উঁচু। এই সেতুর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল জাহাজকে যাতায়াতের পথ করে দেওয়ার জন্য এটিকে মাঝখান থেকে তোলা যায়। এর জন্য ৭২.৫ মিটার লম্বা একটি ভার্টিকাল লিফট স্প্যান তৈরি করা হয়েছে। আগে সেতুটি তুলতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগলেও, নতুন সেতুতে এটি ৫ মিনিটে তোলা যায়। এর পাশাপাশি, এই সেতুর সিগন্যাল বাতাসের গতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। যদি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি বাতাসের গতিবেগ থাকে, তাহলে সিগন্যালটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে লাল হয়ে যায়। তখন এই সেতুতে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।

 

4/10
আনাই ইন্দিরা গান্ধী রোড ব্রিজ
আনাই ইন্দিরা গান্ধী রোড ব্রিজ
এই সেতুটি পাম্বান রেল সেতুর পাশে অবস্থিত। চারদিক থেকে সমুদ্র দিয়ে ঘেরা আনাই ইন্দিরা গান্ধী রোড ব্রিজ পাম্বান দ্বীপে অবস্থিত রামেশ্বরমের সঙ্গে জাতীয় সড়ক ৪৯-কে সংযুক্ত করে। এই সেতুর নীচ দিয়ে জাহাজ সহজেই চলাচল করতে পারে।
5/10
সরাইঘাট সেতু
সরাইঘাট সেতু

আসামের ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর নির্মিত সরাইঘাট সেতুটি একটি ডবল ডেকার সেতু। যেখানে একইসঙ্গে উপরের রাস্তাটি ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং নীচের অংশটি রেলপথ। এই সেতুটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে সমগ্র ভারতের সঙ্গে জুড়ে রাখে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহের ৪০ ফুট উপরে এই সেতুটি নির্মিত।

 

6/10
হাওড়া ব্রিজ
হাওড়া ব্রিজ
হাওড়া ব্রিজ একটি ক্যান্টিলিভার সেতু। বিশ্বের এই ধরনের সেতুগুলির মধ্যে হাওড়া ব্রিজ ষষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু। কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে সংযোগকারী এই সেতু গঙ্গা নদীর উপর উভয় পাশে নির্মিত ২৮০ ফিট উঁচু দুটি স্তম্ভের উপর স্থাপিত। সেতুর ডেকটি ৩৯ জোড়া হ্যাঙ্গার দ্বারা ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। হাওড়া ব্রিজের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হল এতে একটিও নাট-বল্টু নেই। 
7/10
সিংশোর ব্রিজ
সিংশোর ব্রিজ

পশ্চিম সিকিমে পাহাড়ের উপর অবস্থিত সিংশোর ব্রিজ এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঝুলন্ত সেতু। এটি মাটি থেকে ১৯৮ মিটার উঁচু। এই সেতুর দৈর্ঘ্য ২৪০ মিটার। এটি সিকিমের সর্বোচ্চ সেতু। গতবছর এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই ঝুলন্ত সেতুকে একটি অসাধারণ কাঁচের ডেক স্কাইওয়াকে রূপান্তরিত করা হয়েছে।   

 

8/10
রাম ঝুলা ও লক্ষ্মণ ঝুলা
রাম ঝুলা ও লক্ষ্মণ ঝুলা
উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশে গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত দুটি ঝুলন্ত সেতু। এরমধ্যে রাম ঝুলা দড়ির ঝুলন্ত সেতু। ৪৪ মিমি ব্যাসের ২৪টি দড়ি দ্বারা ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা রাম ঝুলা নদীর দুপাশে ২১ মিটার উঁচু দুটি টাওয়ারের সঙ্গে যুক্ত। ওদিকে লক্ষ্মণ ঝুলা ইস্পাতের তার দিয়ে তৈরি একইরকম ঝুলন্ত সেতু, নদীর দুপাশে টাওয়ারের সঙ্গে যুক্ত। 
9/10
ডবল ডেকার রুট ব্রিজ
ডবল ডেকার রুট ব্রিজ

মেঘালয়ের উমশিয়াংয়ে অবস্থিত ডবল ডেকার রুট ব্রিজটি এক বিশেষ ধরণের রাবার গাছের চাষ করে তৈরি করা হয়েছে। রাবার গাছের শিকড় একটির সঙ্গে আরেকটি জড়িয়ে গিয়ে তৈরি হয়েছে এই সেতু। এই সেতু তৈরি করতে ২৫ বছর সময় লেগেছে। একসঙ্গে ৩০ জন মানুষের ওজন বহন করতে পারে এই সেতু।

 

10/10
ডবল ডেকার রুট ব্রিজ
ডবল ডেকার রুট ব্রিজ
রাম সেতু রাম সেতু রামেশ্বরমকে শ্রীলঙ্কার মান্নার দ্বীপের সঙ্গে যুক্ত করে। এটি প্রাকৃতিক চুনাপাথরের তৈরি ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সেতু। একে ঘিরে আছে রামায়ণের কাহিনী। বলা হয়, এই সেতুটি ভগবান রাম তাঁর বানর বাহিনীর সাহায্যে তৈরি করেছিলেন সীতাকে লঙ্কা থেকে উদ্ধারের জন্য। ১৪৮০ সাল পর্যন্ত এই সেতুটি সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরে ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তারপর এটি ধীরে ধীরে সমুদ্রে ডুবে যায়।




Read More