মঙ্গলবার আড়াইটে নাগাদ পহেলগাঁওয়ের বাইসারনে পর্যটকদের উপরে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। জানা যাচ্ছে পর্যটকদের মধ্যে মিশে ছিল জঙ্গিরা। ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। সূত্রের খবর, অমিত শাহকে পহেলগাঁওয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় মানুষজন বলছেন পর্যটকদের ভিড়ে মিশে ছিল জঙ্গিরা।
এদিন অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বাইসারনে পর্যটকদের উপরে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। এখনওপর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ২৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে ঘটনার খবর পেয়েই এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী।
জঙ্গিদের খোঁজে চলছে চিরুনী তল্লাশী। অমরনাথ যাত্রার আগে পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনায় পরপরই জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, এরকম ভয়ংকর হামলা বহুদিন হয়নি। আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
অন্যদিকে, অমিত শাহ বলেছে খুব শীঘ্রই তিনি শ্রীনগরের উদ্দেশ্যে উড়ে যাবেন। এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে একটি জরুরি বৈঠক হবে। ভিডিয়ো কন্ফারেন্সে তিনি গোটা পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। যারা ওই হামলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাদের কাউকেই ছেড়ে কথা বলা হবে না। এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর তত্পরতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পর্যটন মরশুমের এটাই পিক সময়। ঘন জঙ্গল, সবুজ উপত্যকা ও লেকের আকর্ষণে পহেলগাঁওয়ে ভিড় করেন পর্যটকরা। সেই পর্যটকরদের ভিড়ে হামলা করে জঙ্গিরা। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এখন অমরনাথ যাত্রার জন্য নাম রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলছে। টানা ৩৮ দিনের অমরনাথ য়াত্রা শুরু হবে ৩ জুলাই। এখনওপর্যন্ত সেটাই ঠিক রয়েছে। মোট দুটি রুটে অমরনাথ য়াত্রা হবে। একটি অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁও দিয়ে এবং অন্যটি গান্ডেরবাল জেলার বালতাল রুট দিয়ে। সেনা সূত্রে খবর প্রায় ৩-৫ মিনিট ধরে গুলি চালায় জঙ্গিরা। তবে স্থানীয়দের বক্তব্য কোনও পাল্টা গুলির শব্দ তারা পাননি। এখনওপর্যন্ত যে ৭ জন আহত হয়েছেন তাদের নাম বিনু ভাট(গুজরাট), মানিক পাটিল, রিনো পান্ডে, এস বালাচন্দ্রু(মহারাষ্ট্র), ডা পরমেশ্বর, অভিজীবন রাও(কর্ণাটক), সান্ত্রু(তামিলনাড়ু), শশী কুমারী(ওড়িশা)। জানা যাচ্ছে কলকাতার বাসিন্দা বিতান অধিকারীর কাঁধে গুলি লেগেছে। তাঁর বাড়ি যাচ্ছে অরূপ বিশ্বাস।
এদিকে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স নামে একটি সংগঠন। এই জঙ্গি সংগঠনটি পরিচালনা করা হয় পাকিস্তান থেকে। তাদের দাবি, এলাকার মানুষের উপরে তারা হামলা করেনি।