Digha Jagannath Temple: পুণ্যার্থীদের অনেকেই পুরীতে যেতে না পেরে দীঘা চলে যাচ্ছেন। অনেক আবার দীঘায় সমুদ্র দেখা ও মন্দির দর্শন দুটোই করছেন একসঙ্গে
দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দরজা খুলে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মন্দিরের দ্বারোদ্ঘটের পর থেকেই সেখানে উপচে পড়ছে পুণ্যার্থীদের ভিড়। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে পুরী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
নতুন এক জগন্নথাধাম হওয়াতো সম্ভব নয় তবুও পুরীর ভিড় দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের জন্য হালকা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পুণ্যার্থীদের অনেকেই পুরীতে যেতে না পেরে দীঘা চলে যাচ্ছেন। অনেক আবার দীঘায় সমুদ্র দেখা ও মন্দির দর্শন দুটোই করছেন একসঙ্গে। ফলে চাপ বাড়ছে পুরী জগন্নাথ মন্দিরের উপরে। সেখানে দর্শনার্থী কমার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।
পরিস্থিতি বিচার করে 'জগন্নাথধাম' কথাটি একচ্ছত্র ব্যবহার করতে পারে এই দাবি নিয়ে পেটেন্টের আবাদেন করতে চলেছে পুরী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, শুধুমাত্র জগন্নাথধামই নয়, পুরুষোত্তমধাম, শ্রীক্ষেত্র, নীলাচলধাম-শব্দ ও মন্দিরের লোগো নিয়েও পেটেন্টের আবেদন করবে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
পুরী জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাধি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মন্দিরের পরিচয়, পবিত্রতা, ঐতিহ্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। জগন্নাথের সঙ্গে সম্পর্কিত শব্দগুলি যাতে যথেচ্ছ ব্যবহার করা না হয় তার জন্য আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
দীঘার মন্দির পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি। সেই মন্দিরের সঙ্গে জগন্নাথধাম শব্দ ব্যবহার করা শুরু হতেই বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। এনিয়ে আপত্তি তোলেন পুরীর শঙ্করাচার্যও। তবে পাল্টা জবাব দেন মমতাও।