Lalbazar Abhijan by Junior Doctors: প্রতীকী মেরুদণ্ড আর গোলাপ নিয়ে মিছিল শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। দুপুর দুটো থেকে শুরু হয়েছে এই মিছিল। এই মিছিলের জেরে কার্যত স্তব্ধ বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট। বউবাজারে বজ্র আঁটুনি। মিছিল রুখতে লাঠি-ঢাল হাতে পুলিস। চিকিৎসকরা মানববন্ধন করে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু পুলিশ এই প্রস্তাব মানেনি। ব্যারিকেড তোলার কোনরকম প্রস্তাব পুলিশ মানেনি। এই ঘটনায় বিরক্ত নির্যাতিতার বাবা-মা।
বরুণ সেনগুপ্ত: মঙ্গলবার লালবাজার অভিযানে যান জুনিয়র চিকিত্সকেরা। বেশ কিছু দাবি নিয়ে তাঁরা দেখা করতে চান পুলিস কমিশনারের সঙ্গে।
আর জি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের পর ২৪ দিন পার, এখনও কিনারা হয়নি সেই রহস্যের। এই প্রেক্ষাপটে আজ লালবাজার অভিযানের ডাক ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের।
কিন্তু বেন্টিক স্ট্রিটের মুখেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। চিকিৎসকরা মানববন্ধন করে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু পুলিশ এই প্রস্তাব মানেনি। ব্যারিকেড তোলার কোনরকম প্রস্তাব পুলিশ মানেনি।
জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, 'আমরা এখানে কেউ আইন অমান্য করতে আসিনি। আমরা কেউই এখানে ব্যারিকেড ভাঙতে আসিনি। এর আগেও আমরা মিছিল করেছি। কেন এতো আগে আটকে দেওয়া হল'?
'আমাদের লালবাজার পর্যন্ত যেতে দিতে হবে। পুলিশ কমিশনার নিজে আসবেন এখানে।তা না হলে পুলিশ কমিশনার পদত্যাগ করুক।এখান থেকে আমরা উঠব না। লালবাজার পর্যন্ত যেতে দিতে হবে।', দাবি আন্দোলনরত ডাক্তারদের।
জুনিয়র ডাক্তারদের লালবাজার অভিযানের প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন, 'আগে জানলে মেয়েকে ডাক্তারি পড়তেই পাঠাতাম না। মেয়েকে বলতাম যারা ডাক্তারি করছে তারা দুর্বৃত্ত'।
'আজকে যেভাবে দুর্গ তৈরি করে তাদের আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এটা খুবই দুঃখজনক। কলকাতা সিপির যদি সৎ সাহস থাকত তাহলে যারা নিরস্ত্রভাবে আন্দোলন করতে এসেছিল তাদের সঙ্গে কথা বলতেন' অভিযোগ নির্যাতিতার মা-বাবার।