Ramkrishna Mission loses 2.5 crore: সিট গঠন করে তদন্তে পুলিস। টিম পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গতেও।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাইবার অপরাধীদের খপ্পরে এবার রামকৃষ্ণ মিশনও! সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে আড়াই কোটি টাকা প্রতারণার শিকার হয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম।
প্রতারণার এই ঘটনাটি ঘটেছে রামকৃষ্ণ মিশনের গোয়ালিয়র আশ্রমের সঙ্গে। গোয়ালিয়র আশ্রমের সেক্রেটারি স্বামী সুপ্রদীপ্তনন্দকে ইডি আধিকারিকের ভেক ধরে টানা ২৬ দিন 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট' করে রাখে সাইবার শিকাররীরা।
ভুয়ো নথি ব্যবহার করে তাঁকে জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়ালের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয় মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারির ভয় দেখানো হয়। এই ভয় দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে হাতানো হয় টাকা।
জানা গিয়েছে, ১৫ মার্চ প্রথম ফোন পান স্বামী সুপ্রদীপ্তনন্দ। তিনি ২০ কোটি টাকা নয়ছয় মামলার তদন্তে ইডির নজরে আছেন বলে ভয় দেখানো হয়। ভুয়ো ব্যাংক নথি, লেনদেন নথি দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয় তাঁর আধারের তথ্য।
এমনকি তাঁকে এও বলা হয় যে, রামকৃষ্ণ মিশনের তহবিলও 'ভেরিফাই' করা প্রয়োজন। সেইসঙ্গে তাঁকে এই বিষয়ে পরিবার থেকে আশ্রম আধিকারিক, কারও সঙ্গে কথা বলতে বারণ করা হয়।
এও বলে ভয় দেখানো হয় যে এই বিষয়ে জানালে তাঁর ৭ বছরের জেল থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে আপডেট পাঠানো হতে থাকে। একাধিক অ্যাকাউন্টে স্বামীজিকে মোট ২ কোটি ৫২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা পাঠাতে বাধ্য করা হয়।
এরপর ১১ এপ্রিল যখন 'প্রতিশ্রুতি' মতো কোনও রিফান্ড আসে না, ফোন করেও কোনও উত্তর পান না, তখন স্বামীজি বুঝতে পারেন যে গোটা ঘটনাটি-ই একটি স্ক্যাম। তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
এরপরই পুলিসের দ্বারস্থ হন তিনি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তদন্তে টিম পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে।