িন পেয়ে গিয়েছে দেবযানী মুখোপাধ্যায়। কিন্ত বন্দিদশা এখনও খোচেনি সুদীপ্ত সেনের। প্রেসিজেন্সি জেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তি...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাতারাতি খবরের শিরোনামে চলে এসেছিলেন তিনি। ফুলফেঁপে ওঠেছিল ব্যবসা। একসময়ের বেতাজ বাদশা, সারদাকর্তা সেই সুদীপ্ত সেন এখন গুরুতর অসুস্থ। শরীর থেকে রক্তরক্ষণ হচ্ছে। কিন্তু সঠিক চিকিত্সা পাচ্ছেন না! প্রেসিডেন্সি জেলে সুপারকে সিবিআইয়ের স্পেশাল আদালতে নির্দেশ, সুদীপ্ত সেনকে এসএসকেএম হাসপাতালে ইউরোলজি এবং অঙ্কওলজি স্পেশালিস্ট দিয়ে চিকিত্সার করানোর প্রয়োজন।
রাজ্য়ে তখন সদ্য পালাবদল ঘটেছে। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদার কেলেঙ্কারিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
অভিযোগ, সারদা গ্রুপ নামে একটি কোম্পানি খুলে সাধারণ মানুষের কাছে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করে প্রতারণা করা হয়েছিল। এই সারদা কোম্পানির কর্তা ছিলেন সুদীপ্ত সেন।
২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে সুদীপ্ত সেনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিস। সঙ্গে দেবযানী মুখোপাধ্যায়।
২০১৪ সালে সারদা টুর অ্যান্ড ট্রাভেলস মামলায় অভিযুক্ত হন দেবযানী। এখন সারদা মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি।
সারদা মামলায় অবশ্য জামিন পেয়ে গিয়েছেন দেবযানী। এ রাজ্য়ে যে তাঁর বিরুদ্ধে যে ক'টি মামলা করেছে সিবিআই, সেইসমস্ত মামলায় দেবযানীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। তবে অসম ও ভুবনেশ্বরে সারদা চিটফান্ড মামলায় জামিন পাননি তিনি।
সুদীপ্ত সেনের বন্দিদশা ঘোচেনি এখনও। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি তিনি।
সারদা মামলায় যখন বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই, তখন নিজের দোষী স্বীকার করে নিয়েছেন সুদীপ্ত। আদালতে তিনি জানিয়েছেন, সারদা কোম্পানীর কর্মীদের বেতন ও পিএফের টাকা জমা দিতে পারেননি।