Hilsha in Digha: “এই শুরুর ফলাফল দেখে মনে হচ্ছে মরশুমটা ভালো যাবে... এই মরশুমে ভালো কিছু হবে বলেই আশা করছি।”
মাছ ধরার ব্যান পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর ১৫ জুন থেকেই সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল প্রায় ২০০০ ট্রলার। মাত্র ৩ দিনের মাথাতেই ফেরার পথে মিলল বহু প্রতীক্ষিত ইলিশ।
মৎস্যজীবীদের মতে, সমুদ্রের বুকে পূবালি হাওয়া ও হালকা ঝিরঝিরে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির কারণেই পরিবেশ একেবারে ইলিশের জন্য উপযোগী হয়ে উঠেছে। ফলে শুরুতেই আশানুরূপ সাড়া মিলেছে।
এই ইলিশের পরিমাণ এবং গুণমান দেখে খুশি মৎস্যজীবী থেকে বিক্রেতারা। দীঘা মোহনার বাজারে এদিন ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা কেজি দরে।
আর বড় আকারের অর্থাৎ দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকা পর্যন্ত দামেও। মৎস্যজীবী অনন্ত বর বলেন, “দীর্ঘদিন পর এমন রূপালি ইলিশ পেয়ে আমরা খুশি। এই মরশুমে ভালো কিছু হবে বলেই আশা করছি।”
দীঘা মৎস্যজীবী সংগঠনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানিয়েছেন, “এখনও বহু ট্রলার সমুদ্রে রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল নয়। সমুদ্র খানিকটা উত্তাল হয়েছে। যে কারণে অনেক ট্রলার ফিরতে শুরু করেছে। তবে আরও ভালো পরিমাণে ইলিশ উঠবে বলে আমরা আশাবাদী।”
ট্রলারের মাঝি গৌতম দাস বলেন, “এই শুরুর ফলাফল দেখে মনে হচ্ছে মরশুমটা ভালো যাবে। বড়ো আকারের ইলিশও উঠছে।” ইলিশ নেওয়ার জন্য দীঘায় ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের জন্য বিশেষ সুবিধার বন্দোবস্তও করা হয়েছে।
মোহনায় পর্যটকদের জন্য আইস ব্যাগে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মৎস্যজীবীরা বলছেন, শিগগিরই এই ইলিশ কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে পৌঁছে যাবে। আর তারপরই জমিয়ে ইলিশে রসনা তৃপ্তির পালা।