Kolkata Bookfair: আজ বিকেল ৪ টে উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কাল থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বইমেলা। প্রতিদিন বেলা ১২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। মেলায় প্রবেশের জন্য মোট ৯ টি প্রবেশ পথ...
অয়ন ঘোষাল: বইমেলা মানেই বইপ্রেমীদের কাছে আনন্দমেলা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, 'মানুষ বই দিয়ে অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যে সাঁকো বেঁধে দিয়েছে।' আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৪৮ তম কলকাতা বইমেলার, উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকেল ৪ টের সময়।
কাল থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বইমেলা। প্রতিদিন বেলা ১২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা।
মেলায় প্রবেশের জন্য মোট ৯ টি প্রবেশ পথ। মেলায় মোট স্টল ৬৫৫। মেলায় দৈনিক পুলিশ কর্মী দেড় হাজার।
মেলায় ৩ প্রান্তে ৩ টি ওয়াচ টাওয়ার। দমকলের গাড়ি ছাড়াও দুটি ফায়ার কমব্যাট বাইক। লিটল ম্যাগাজিনের জন্য ৩০০০ বর্গ ফুট প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ।
দৈনিক বেলা ১ টা থেকে রাত ৯ টা ২০ টি রুটে বইমেলা স্পেশাল সরকারি বাস। মেলায় আগত মানুষের জন্য চলবে অতিরিক্ত ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো।
মেলায় নিজের পছন্দের স্টল খুঁজে নিতে IKBF অ্যাপ। ৪৮ তম কলকাতা বইমেলা ঘুরে গেলেন কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মা। কলকাতা পুলিসের স্টল পরিদর্শন নগরপালের।
মেলা চত্বরে নেট সংযোগ পাওয়া নিয়ে প্রতি বছরই চলে ধস্তাধস্তি। এই বছরে থাকছে বইপ্রেমীকদের জন্য একটি বিশেষ চমক, অ্যাপ হাতে থাকলে বইমেলায় যে কোনও দোকানে পৌঁছনো হয়ে যাবে খুব সহজ।
এই বছরে ছোট বড় স্টল মিলিয়ে এক হাজারেরও বেশি স্টল থাকার সম্ভাবনা। অতীতের সকল নজির ছাপিয়ে যেতে পারে এই বছরের বইমেলা। বইলেমলার গেটের নামকরণ হয়েছে বাংলা, ইংরেজি প্রখ্যাত কিছু লেখকের নামে।
এই বছর আইকেবিএফ নামের একটি অ্যাপ ডাউনলোড করলে তাতে বইমেলার ভিতরের যে কোনও স্টলে যাওয়ার রাস্তা দেখতে পাওয়া যাবে। বইমেলার ম্যাপ ধরে স্টল নম্বর লক্ষ করলে খুব সহজে পৌঁছে যাওয়া যাবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে।
এই প্রথম জার্মানিকে থিম দেশ হিসেবে পাচ্ছে কলকাতা। জার্মানি থেকেই ভাবনা এসেছিল কলকাতায় বইমেলা করার। ১৯৭৬ সালে কলকাতা বইমেলা আয়োজনের প্রথম চিন্তাভাবনা এসেছিল জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুট বইমেলা থেকেই।
৪৮ বছর কেটে গেলেও কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি হিসেবে কখনও জার্মানি অংশগ্রহণ করেনি। এবার মিটল সেই আশা। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই বছর বইমেলায় থাকছে না বাংলাদেশ। প্রায় ৩০ বছর পর ঘটছে ছন্দপতন। কলকাতা বইমেলার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ ১৯৯৬ সাল থেকেই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ডক্টর ফিলিপ আকারমান-সহ বিশিষ্ট সাহিত্যিকমণ্ডলী। এবারের বই মেলায় থাকছে প্রায় ৬৫৫টি স্টল। এই বছরের বইমেলার প্রধান গেটের নাম সলিল চৌধুরী এবং ঋত্বিক ঘটকের নামে।
সুখ-দুঃখে, ভালো-মন্দে বইই মানুষের একমাত। এক-একটা বই যেন এক-একটা জীবনের চলমান প্রতিবিম্ব। অনন্ত মানুষের অফুরন্ত জীবন নিয়েই মানুষের পরিপূর্ণ মহাজীবন; সেই মহাজীবনের মেলা বইমেলা। আজ থেকে বইপ্রেমীদের ঢল বাড়বে বইমেলাকে ঘিরে।