Supreme Court on Russian Spy Case: চন্দননগরের বাসিন্দা সৈকত বসুর রুশ নাগরিক স্ত্রী ভিক্টোরিয়া বসু ও তাঁদের শিশুসন্তান নিখোঁজ। এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি পুলিস কমিশনারকে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে ভিক্টোরিয়ার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করতে এবং তাঁর দেশ ছাড়ার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করতে।
বিধান সরকার - রাজীব চক্রবর্তী: ছেলেকে নিয়ে উধাও চন্দননগরের রাশিয়ান বধু,কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে লুক আউট নোটিস জারি করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চন্দননগরের বাসিন্দা সৈকত বসুর রুশ নাগরিক স্ত্রী ভিক্টোরিয়া বসু ও তাঁদের শিশুসন্তান নিখোঁজ। এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি পুলিস কমিশনারকে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে। শিশুটিকে খুঁজে পেয়ে বাবার হেফাজতে ফিরিয়ে দিতে বলা হয়েছে পুলিসকে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে ভিক্টোরিয়ার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করতে এবং তাঁর দেশ ছাড়ার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করতে। পাশাপাশি, বিদেশ মন্ত্রককে বলা হয়েছে রাশিয়ান দূতাবাসের সঙ্গে অবিলম্বে যোগাযোগ করতে।
জানা গিয়েছে, ৪ জুলাই ভিক্টোরিয়াকে শেষবার দিল্লির রাশিয়ান দূতাবাসে এক আধিকারিকের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। ওই আধিকারিকের বাসভবনে তল্লাশি চালানোর অনুমতি পেতে বিদেশ মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়ান দূতাবাস যেন ভারতীয় আইন মেনে পূর্ণ সহযোগিতা করে। একইসঙ্গে দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন বিভাগকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
চন্দননগর পুর নিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীপল্লীর বাসিন্দা সৈকত বসু। রুশ যুবতী ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিবাহ। তাদের পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে রুশ বধু নিখোঁজ হয়ে গেছেন এমনই অভিযোগ। ছেলেকে ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছেন সৈকত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সৈকত বসু তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে কাজ করেন।অনেক দিন বিদেশে ছিলেন।রাশিয়ান যুবতীকে বিবাহ করার পর চন্দননগরের বাড়িতে কিছু দিন ছিলেন। একবার বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলেন ভিক্টোরিয়া। ভারতীয় দূতাবাসে সৈকতের গোটা পরিবারকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন।
সৈকত অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী রুশ গুপ্তচরবৃত্তি করতেন। যদিও চন্দননগরের বাসিন্দা তার প্রতিবেশীরা এবিষয়ে কিছু বলতে পারেননি। চন্দনননগরের ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জিত কুন্ডু, মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন,তারা সেই ভাবে চিনতেন না। সংবাদ মাধ্যম থেকে জেনেছেন। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন সৈকত। কোর্ট তার কথা শুনছে।