Tangra Murder Case News Today: মৃত্যু নিশ্চিত করতে প্রথমে স্ত্রী রোমি দে ও পরে বৌদি সুদেষ্ণা দে-র হাতের শিরা কাটেন ছোটোভাই প্রসূন।
)
রণয় তিওয়ারি: আজ, সোমবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন আগেই। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই পৌঁছন থানায়। অবশেষে স্ত্রী-বউদিকে খুনের দায়ে ট্যাংরাকাণ্ডে গ্রেফতার ছোটোভাই প্রসূন দে!
)
একটি গাড়ি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামনে আসে ট্যাংরার হাড়হিম ঘটনা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির সওয়ারিদের ঠিকানায় পরিবারের লোকজনদের খোঁজ করতে গিয়ে বাড়িতে ২ মহিলা ও এক নাবালিকার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
)
সামনে আসে ব্যবসায় আর্থিক টানাপোড়েন ও দেনার দায়ে এক পরিবারের ৬ জনের নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টার ঘটনা। তবে বাড়ির ২ বউ ও নাবালিকার মৃত্যু হলেও ২ ভাই ও নাবালক প্রাণে বেঁচে যান।
)
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সামনে আসে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে দে পরিবারের ২ বউ সুদেষ্ণা দে ও রোমি দে-র মৃত্যুর কথা। আর খাবারে বিষক্রিয়ার ফলে নাবালিকা প্রিয়ংবদার মৃত্যুর কথা।
)
জানা যায়, পায়েসে কড়া ডোজের ওষুধের মিশ্রণে 'বিষ' তৈরি করে মেশানো হয়েছিল। গন্ধ ঢাকতে দেওয়া হয় তুলসি পাতা। তারপর সেই পায়েস খায় সবাই। কিন্তু সেই পায়েস খেয়ে শুধু নাবালিকা প্রিয়ংবদার মৃত্যু হয়।
)
মৃত্যু নিশ্চিত করতে প্রথমে স্ত্রী রোমি দে ও পরে বউদি সুদেষ্ণা দে-র হাতের শিরা কাটেন ছোটোভাই প্রসূন। প্রথমে নিজেরাই নিজেদের হাতের শিরা কেটেছেন বলে দাবি করলেও পরে জেরায় প্রসূন দে স্বীকার করেন যে, দেড় ঘণ্টা ধরে বউ আর বউদির শিরা কেটেছিলেন তিনি।
)
প্রথমে স্ত্রী রোমির হাতের শিরা ও গলায় কাটা হয়। পরে বউদি সুদেষ্ণার হাতের শিরা কাটেন প্রসূন। আওয়াজ না বেরোতে পারে, তাই শিরা কাটার সময় মুখে বালিশ চাপা দিয়ে দেওয়া হয়।
)
প্রসঙ্গত, দুই ভাইয়ের গাড়ি দুর্ঘটনাও ছিল ইচ্ছাকৃত। আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্য নিয়েই গাড়ি নিয়ে সজোরে পিলারে ধাক্কা মারেন। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন নাবালক সহ ২ ভাই।
)
খানিক সুস্থ হওয়ার পর নাবালক-ই প্রথম জানায় যে, কাকা প্রসূন-ই খুনি। মা-কাকিমাকে খুন করেছে কাকা-ই। তারও হাতের শিরা কাটার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সে বেঁচে যায়।
Newsletter
