Siddhant Das Victo: ঠাকুরপুকুর দুর্ঘটনায় পরিচালকের দায়িত্বরজ্ঞানহীনতায় অবাক সকলেই। এই ঘটনায় ট্রাফিক বিভাগের হাত থেকে এই অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলার তদন্তভার নিয়েছে কলকাতা পুলিস। সেখানেই জেরায় ভিক্টোর কথা শুনে অবাক পুলিস।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঠাকুরপুকুর দুর্ঘটনা (Thakurpukur Accident) ঘিরে উত্তাল গোটা টলিউড (Tollywood)। পরিচালকের দায়িত্বরজ্ঞানহীনতায় অবাক সকলেই। গত রবিবার (৬ এপ্রিল) সকালে ঠাকুরপুকুরে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ছয়জনকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস ওরফে ভিক্টোর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, সেই গাড়িতে ভিক্টো ছাড়াও ছিলেন দুই মহিলা, বেসরকারি চ্যানেলের কার্যনির্বাহী প্রযোজক শ্রিয়া বসু ও অভিনেত্রী ঋ সেন। জানা যায় যে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ঋ, অন্যদিকে শ্রিয়াকে আটক করলেও পরবর্তীতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আহতদের মধ্যে একজন ইতোমধ্যেই প্রয়াত, অন্যজন আশঙ্কাজনক, আহত আরও ৪। এই ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, ৫০-৬০ কিলোমিটার গতিতে ছুটছিল গাড়িটি। ঠাকুরপুকুর বাজারে ঘটা এই ঘটনায় ট্রাফিক বিভাগের হাত থেকে এই অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলার তদন্তভার নিয়েছে কলকাতা পুলিস।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ডানদিক, বাঁদিকে চলা এলোপাথাড়ি গাড়িটি একটি স্কুটারকেও ধাক্কা দেয়। স্কুটারটি গাড়ির তলায় চলে গেলে গাড়িটি লক হয়ে যায়। এরপরেই জনতার হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা।
কিন্তু কেন জনবহুল বাজারে ঢুকে পড়লেন গাড়ি নিয়ে? “দিন আর রাতের তফাত বুঝতে পারিনি। মদ্যপ অবস্থায় দিনের বাজারের রাস্তা রাতের মতোই ফাঁকা মনে করে ঢুকে পড়েছিলাম বাজারে”, ভিক্টোর এই বক্তব্য শুনে অবাক লালবাজারের অফিসাররা।
পুলিশ সূত্রের খবর, সিদ্ধান্ত গোয়েন্দাদের কাছে দাবি করে যে, ঠাকুরপুকুর বাজারের রাস্তাটি তার কাছে খুবই পরিচিত। গভীর রাতে ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করে সে। স্বভাবতই রাতে সেই রাস্তা ফাঁকা থাকে। তাই ৮০ কিলোমিটার বেগেও গাড়ি চালিয়েছে সে। তবে দিনেরবেলায় ওই রাস্তায় ঢুকতেই বিপত্তি।
সেদিন কী ঘটেছিল? সিদ্ধান্ত পুলিসকে জানায়, প্রথমে পানশালায় মদ্যপান করেছিল সে। সেখান থেকে এক অভিনেতার বাড়িতে গিয়ে ফের মদ্যপান করেছিল। এতই মদ্যপান করেন যে হুঁশও ছিল না।
ভিক্টো আরও বলেন, অভিনেত্রী ঋ সেন চালকের আসনের পাশেই বসে ছিলেন। আর পিছনের সিটে ছিলেন কার্যনির্বাহী প্রযোজক শ্রিয়া বসু। দুর্ঘটনার সময় ওই দুই মহিলা সহযাত্রীও নেশায় বুঁদ হয়ে ঘুমাচ্ছিলেন গাড়িতে।
পুলিসের কাছে পরিচালক সিদ্ধান্তের দাবি, প্রচণ্ড নেশা করে গাড়ি চালাতে চালাতে তার চোখও জুড়িয়ে আসছিল। অভ্যাসের বশেই সে প্রায় ঘুমন্ত অবস্থায় ঢুকে পড়ে ঠাকুরপুকুর বাজারে। দিন আর রাতের তফাতই সে বুঝতে পারেনি।
ওই রাস্তাতে ঢুকেই স্টিয়ারিংয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ঘটে যায় দুর্ঘটনা। এই ব্যাপারে আরও তথ্য জানতে তাকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।