য়ে, পুরীর মন্দির নিয়ে বাঙালির আবেগের কোনও শেষ নেই! সব সময়ই বাঙালি পুরী ছোটে। কিন্তু সব সময় যে পুরী ...
পুরী বা পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে রয়েছে বহু মিথ, বহু রহস্য। সেগুলি নিয়ে বাঙালির মনে নানা ওঠা-পড়া।
যেমন, একটি বিশ্বাস রয়েছে যে, পুরীতে রথযাত্রার সময়ে জগন্নাথের রথের দড়ি টানলে ১০০ যজ্ঞের সমান পুণ্য হয়। পুরী স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের ক্ষেত্র।
যেমন, বিশ্বাস করা হয় যে, বিয়ের পরে দম্পতিরা মন্দিরে গিয়ে জগন্নাথের দর্শন করেন, তাহলে তাঁদের বৈবাহিক জীবন হয় সুখের। এই জন্যে অনেকেই হানিমুনে অন্য কোথাও
কিন্তু, উল্টোটা নাকি ভয়ানক। বলা হয়, অবিবাহিত যুগলদের জন্য পুরীযাত্রা মোটেই ভালো নয়। তাঁদের ক্ষেত্রে ফল হতে পারে বিপরীত।
কী? তাঁদের নাকি বিচ্ছেদ হয়ে যেতে পারে! একাধিক কারণে তাই জগন্নাথ মন্দিরে তাঁদের প্রবেশে বাধাও দেওয়া হয়। কিন্তু কেন এমন? আছে এক কাহিনি।
বলা হয়, শ্রীরাধা নাকি একবার পুরী গিয়ে শ্রীকৃষ্ণের জগন্নাথরূপ দেখতে চেয়েছিলেন। তিনি মন্দিরে ঢুকতে চেষ্টা করলে পুরোহিত তাঁকে বাধা দেন। কেন? তাঁকে বলা হয়, শ্রীরাধা শ্রীকৃষ্ণের বিবাহিত স্ত্রী নন। মন্দিরে জগন্নাথ তথা শ্রীকৃষ্ণ থাকেন তাঁর দাদা বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রার সঙ্গে, এখানে রাধার কোনও জায়গা নেই! পুরোহিতের এই ব্যাখ্যায় ভয়ংকর রেগে যান শ্রীরাধা। তিনি অভিশাপ দেন, এরপর থেকে এখানে কোনও অবিবাহিত যুগল প্রবেশ করতে পারবেন না, করলে তাঁদের প্রেম চিরতরে নষ্ট হয়ে যাবে! ব্যস! শ্রীরাধার ভয়ংকর এই অভিশাপ জেনেও কার বুকের পাটা আছে যে, তিনি তাঁর প্রেমের মানুষটিকে নিয়ে গিয়ে মন্দিরে ঢুকে জগন্নাথদর্শন করবেন?
(Disclaimer: পুরীর মন্দির সংক্রান্ত প্রচলিত একটি তথ্যই এখানে তুলে ধরা হয়েছে মাত্র। এ সংক্রান্ত কোনও ধর্মীয় তত্ত্বের অবতারণা এখানে করা হচ্ছে না, দেওয়া হচ্ছে না কোনও পরামর্শও। এটি মানা বা না মানার সুপারিশও করা হচ্ছে না। বিশ্বাস ব্যক্তিগত বিষয়। সচেতন পাঠক যা করবেন স্বদায়িত্বে। আমাদের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও দায়বদ্ধতা নেই।)