n The World: বিশ্বের সেরা ১০ গোয়েন্দা সংস্থার রয়েছে ইসরায়েলের মোসাদও! তবে জানেন কি তালিকায় রয়েছে এশি...
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি বা সিআইএ হল প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা। গত ৭০ বছর ধরে, সিআইএ বিশ্বব্যাপী মার্কিন স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন গোপন এবং আধাসামরিক অভিযানে জড়িত। সিআইএকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত গুপ্তচর সংস্থা হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।
মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটি বা এমএসএস হল চিনের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা। সেই দেশের বেশিরভাগ গুপ্তচরবৃত্তির কার্যক্রম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে পরিচালিত হয় বলে জানা গিয়েছে। বিশেষ করে সামরিক প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তি খাতে অগ্রগতির ক্ষেত্রে। তবে এমএসএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চিনা সংস্থা পশ্চিমী দেশগুলির ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছে।
রাশিয়ান ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, মাদক পাচার মোকাবিলা, গুপ্তচরবৃত্তি দমন, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরে অন্যান্য ধরণের সংগঠিত অপরাধ মোকাবিলায় তৈরি। দক্ষতা এবং কার্যকারিতার জন্য রাশিয়ান গোয়েন্দা এজেন্টদের খ্যাতি জার আমল থেকেই শুরু হয়। এফএসবির কর্মী সংখ্যা লক্ষাধিক। এফএসবির সদর দফতর রাশিয়ার মস্কো শহরের ল্যুবিয়াঙ্কা স্কোয়ারে। এফএসবির মোট ১০টি বিভাগ রয়েছে।সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এফএসবির গোয়েন্দারা। যারা নিয়মিত এফএসবিকে গোপন তথ্য সরবরাহ করে যাচ্ছে। এফএসবির সর্বমোট কর্মকর্তার সংখ্যা এবং এদের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেটের পরিমাণ এদের নিজস্ব কৌশল হিসেবে গোপন রাখা হয়।
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মোসাদ হল ইসরায়েলের অভিজাত গোয়েন্দা সংস্থা। বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা। ইসরায়েলের সীমান্তের বাইরে গোপন অভিযান পরিচালনার জন্য বিখ্যাত এই সংস্থা। ইহুদি-বিরোধী বলে বিবেচিত শত্রুতাপূর্ণ সত্ত্বা এবং হুমকিকে নিষ্ক্রিয় করার প্রচেষ্টার জন্য সংস্থাটি স্বীকৃতি অর্জন করেছে। মোসাদ এজেন্টরা ইরাক ও ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য করে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ১৯৭২ সালে জার্মানিতে মিউনিখ অলিম্পিক্সের সময়ে ইজরায়েলি ক্রীড়াবিদদের উপর হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের সঙ্গেও জড়িত ছিল
ভারতের ১৪টি গোয়েন্দা সংস্থা, তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে তদন্ত পরিচালনা পর্যন্ত বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে বলে জানা যায়। দেশের প্রাথমিক গোয়েন্দা সংস্থা, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং ওরফে র। ১৯৬৮ সালে পাকিস্তানি গোয়েন্দা কার্যক্রম মোকাবিলা করার প্রাথমিক লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। র-এর কার্যক্রম বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপাল সহ প্রতিবেশী দেশগুলিতে বিস্তৃত।
পাকিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা- ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই), বিশ্বের সেরা গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মধ্যে একটি হিসাবেই বিবেচিত হয়। অপারেশনাল তহবিলের সীমাবদ্ধতার রিপোর্ট সত্ত্বেও, আইএসআই-এর অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে বলে জানা যায়, এর সবচেয়ে বড় সাফল্যগুলির মধ্যে একটি ছিল আফগানিস্তান এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্প্রসারণকে ব্যর্থ করা।
এম১৬ আনুষ্ঠানিক ভাবে সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (SIS) নামে পরিচিত, ১৯০৯ সালের জুলাইয়ে গঠিত হয়েছিল। যদিও ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এর অস্তিত্ব প্রকাশ্যে স্বীকার করা হয়নি। জানা গিয়েছে যে এম১৬ ব্রিটিশ সরকারের জন্য সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানের পাশাপাশি, পারমাণবিক অস্ত্র ও মাদক পাচার সম্পর্কিত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রায় ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩৯ ট্রিলিয়ন রুপি বরাদ্দ করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ান সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস বা এএসআইএস, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত এএসআইএস-এর অস্তিত্ব দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে, এমনকী এএসআইএস, অস্ট্রেলিয়ান সরকারের থেকেও সুরক্ষিত গোপনীয়তা বজায় রেখেছিল বলেই জানা গিয়েছে।
ডিরেক্টোরেট জেনারেল ফর এক্সটার্নাল সিকিউরিটি একটি ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থা। যার বিশ্বব্যাপী ৫০০০ এরও বেশি এজেন্টের নেটওয়ার্ক রয়েছে। ২০০১ সাল থেকে ডিজিএসই ফ্রান্সে ১৫ টিরও বেশি সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করেছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও, গুপ্তচর সংস্থার ১০ টি সামরিক উপগ্রহ রয়েছে, যা ইউরোপে সর্বাধিক সংখ্যক।
জার্মানির ফেডারেল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস বা বিএনডি বিশ্বের সেরা গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মধ্যে একটি, যাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ইলেকট্রনিক নজরদারিতে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। বিএনডি-র নেটওয়ার্কে ৪,০০০-এরও বেশি এজেন্ট রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।