Nabanita Das: কিছুদিন আগেই নবনীতার পোস্ট থেকে সামনে আসে জীতু কামাল ও নবনীতা দাসের বিবাহ বিচ্ছেদের কথা। তবে এই বিচ্ছেদের কথা সে অর্থে স্বীকার করতে চাননি জীতু। তবে এরপরে ফের এক হেঁয়ালি পোস্ট করেন নবনীতা। কার উদ্দেশ্যে এই পোস্ট?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জীতু কমলের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চান নবনীতা দাস। কিছুদিন আগেই এই পোস্ট করে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা সামনে আনেন অভিনেত্রী। তিনমাস আগেই শুরু হয়েছে আইনি প্রক্রিয়া। তাঁর মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে, বেড়েছে মতের অমিলও। এই কারণেই জীতুর রামগড়ের বাড়ি ছেড়ে গত তিন মাস ধরে আলাদাই আছেন তাঁরা।
নবনীতা লেখেন, ‘টেবিলে আর দুটো করে প্লেট থাকবেনা... একজনের জন্য বানানো গ্রিন টি আর দুজনে মিলে ভাগ করে খাওয়া হবেনা... টাওয়াল শেয়ার হবেনা, সান স্ক্রিন ভাগাভাগি হবেনা... কিছুই আর একসাথে হবেনা...’
অভিনেত্রী লেখেন, ‘এমতাবস্থায় আমাকে সব কিছু সামলানোর জন্য তুমি ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করে দিয়েছো, গ্যাস বুকিং থেকে মেডিক্লেম পে সবটাই শিখিয়ে দিয়েছ... লেখার হাত আমার বরাবরই কাঁচা, এইটা তো তোমার কাজ ছিল..তাও নিজে একটু চেষ্টা করলাম।’
নবনীতা লেখেন, ‘আমরা দুজন দুজনের সাথে ভালো নেই... প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এইসব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায়ের ইতিটা নয় এইভাবেই হোক... ভালো থাকো জীতু কমল’।
নবনীতার এই পোস্টের পরেই একটি পোস্ট করেন জীতু। অভিনেতা লেখেন, ‘তোমায় শুরুতেও আগলেছি, আজও আগলাবো… আগামীতে তাই করবো, বাচ্চা বউ’।
পাশাপাশি এক সাক্ষাৎকারেও জীতু বলেন, ‘ও অনেকটাই ছোট, আমার থেকেও অনেকটা ছোট। আমি ওর ইমোশনের মূল্য দিই, ওকে কেয়ারও করি। আমি বরাবরই ওকে যত্নে রাখি, সেটাই রাখার চেষ্টা করব আগামীতেও। ও খুবই স্পেশাল। আর যদি কখনও ওর কোনও সাহায্য বা সাপোর্ট দরকার হয়, আমি সবসময় পাশে আছি।
অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কটাকেও আমি শ্রদ্ধা করি ও তার যথাযথ মূল্য দিয়ে থাকি। একসঙ্গে অনেকটা সময় থাকার পর কেউই তাঁর পার্টনার সম্পর্কে খারাপ ভাবতে পারে না। আমিও ওর ব্যাপারে কোনও অসম্মানজনক কিছু ভাবতেও পারি না। আমার স্ত্রী অনেকটাই ছোট ও ইমোশনাল। আমি এটাকে শ্রদ্ধা করি।’
এরপরেই জীতুর নাম উল্লেখ না করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের পোস্ট করেন নবনীতা। অভিনেত্রী লেখেন, ‘কিছু জিনিস আবছা থাকাই শ্রেয়...তাতেই জীবন আরো পরিষ্কার হয়...’। কী বিষয়ে এই কথা বলেছেন অভিনেত্রী, তা তার পোস্ট থেকে পরিষ্কার নয়।