Tv Actress on Casting Couch: শ্বেতা ভট্টাচার্য বলেন, “অনেক ক্ষেত্রেই কম্পোমাইজের কথা বলা হয়। আমাকেও এরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।"শ্বেতার কথায়, “আমাকে যখন এইসব বলা হয়েছিল তখন আমি বলেছিলাম, আমাকে যদি শরীর দেখিয়ে কাজ করতে হয় তাহলে কাজটা করব না। আমি এখানে ট্যালেন্ট বেচতে এসেছি, শরীর না"।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলা টেলিদুনিয়ায় অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য। ছোট পর্দার পাশাপাশি দেবের বিপরীতে চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ‘কনক কাকন’, ‘জারোয়ার ঝুমকো’, ‘সিঁদুর খেলা’, ‘তুমি রবে নীরবে’, ‘জয় কানহাইয়া লাল কি’, ‘যমুনা ঢাকি’, ‘সোহাগ জল’-এর মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করেন শ্বেতা। ‘প্রজাপতি’ ধারাবাহিকে তাঁকে দেখা যায় দেবের বিপরীতে।
ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই বারবার মিটু ও কাস্টিং কাউচের কথা উঠে এসেছে। ফিসফাস এও শোনা যায় যে কম্প্রোমাইজ না করলে সাফল্য ধরা দেয় না। কিন্তু এই ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন এই অভিনেত্রী।
তবে স্বল্পবসনে অভিনয়ের প্রস্তাবের অভিজ্ঞতা হয়েছে শ্বেতার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কাস্টিং কাউচ ও কুপ্রস্তাব নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
শ্বেতা ভট্টাচার্য বলেন, “অনেক ক্ষেত্রেই কম্পোমাইজের কথা বলা হয়। আমাকেও এরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। আমি স্লিভলেস পরতে পারি না, আমি শর্ট ড্রেস পরতে পারি না। ম্যাক্সিমাম হাঁটু পর্যন্ত কোনো পোশাক আমি পরি"।
অভিনেত্রী আরও বলেন, "আমাকে বলা হয়েছিল, ‘তুমি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে এসেছ, তুমি যদি স্লিভলেস বা শর্ট ড্রেস না পরতে পারো তাহলে টিকবে কী করে?’ কিন্তু সবাই জানে আমি এগুলো পরি না।”
শ্বেতার কথায়, “আমাকে যখন এইসব বলা হয়েছিল তখন আমি বলেছিলাম, আমাকে যদি শরীর দেখিয়ে কাজ করতে হয় তাহলে কাজটা করব না। আমি এখানে ট্যালেন্ট বেচতে এসেছি, শরীর না"।
শ্বেতা আরও বলেন, "আমি এগুলো না করেও ১৫ বছর ধরে মেগাতে লিড করছি। আমাকে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বা প্রযোজকরা কখনো শর্ট ড্রেস পরার জন্য জোর করেননি।”
হিন্দি টিভি ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন শ্বেতা। সেই ঘটনা বর্ণনা করে এই অভিনেত্রী বলেন, “এমনকী ‘জয় কানহাইয়া লাল কি’ নামে যে হিন্দি ধারাবাহিকটি করেছিলাম, সেটা বাংলার মেগা ‘ভজ গোবিন্দ’-এর হিন্দি সংস্করণ ছিল। সেখানে ‘ভজ গোবিন্দ’-এর ‘ডালি’ শর্ট ড্রেস পরেছিল। কারণ ও সেটা ক্যারি করতে পারে। তাকে দেখতেও ভালো লেগেছে। আমি পারি না, সেটা আমার মাইনাস পয়েন্ট হতে পারে। কিন্তু তা নিয়ে আমার কোনো খারাপ লাগা নেই, আমি খুশি। যাই হোক, আমি ধারাবাহিকটির হিন্দি সংস্করণ করার সময়ও শর্ট ড্রেস পরিনি।”