Any Disaster in Puri on Ulto Rathyatra?: আগামী শনিবার, ৫ জুলাই পুনর্যাত্রা। তথা উলটোরথ। পুরীর জগন্নাথমন্দিরে ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে নানা ঘটনা। সেখানে বারবার বাধা, অশুভ ঘটনার কালো ছায়া। কেন?
পুরীর মন্দির তো কম জায়গা নয়! এর সঙ্গে মিশে আছে রহস্য, ইতিহাস, পুরাণ, ভক্তি, বিশ্বাস। রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন জগন্নাথের মন্দির গড়ে দেওয়ার স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। এই মন্দিরে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হৃদয়! কৃষ্ণের মৃত্যুর পরে তাঁর হদয় অবিকৃত ছিল, পোড়েনি। সেটিই পরে পুরীতে ভেসে আসে!
তবে, জগন্নাথের নিজস্ব মূর্তি আছে এখানে। জগন্নাথের মূর্তিকে দারুব্রহ্ম বলা হয়। সেটির পিছনেও বহু ইতিহাস। মিথ।
আর এই ইতিহাস ও পুরাণই যুগ যুগ ধরে ভক্তদের পুরীতে আকর্ষণ করে এসেছে। কৃষ্ণহৃদয় এখানে শাশ্বত ভক্তির প্রতীক। এর সঙ্গে মিশেছে জীবন্ত বিগ্রহ শ্রীচৈতন্যের উপস্থিতির দিব্য মাহাত্ম্যও।
এহেন পুরীতে এবারে অঘটনের ঘনঘটা। জগন্নাথের ধ্বজা নিয়ে চলে গেল বাজপাখি। যা এর আগে কখনও ঘটেনি। তখনই বলা হয়েছিল এটা খুবই অশুভের ইঙ্গিত।
এরপর রথের দিনে জগন্নাথের রথযাত্রায় পদপিষ্ট হলেন ৬০০ ভক্ত। রথের দিনে যাঁরা পদপিষ্ট হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মারাও গিয়েছেন।
সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটল এর কয়েক ঘণ্টা পরে। এই প্রথম জগন্নাথের রথ দিনের দিন পৌঁছতে পারল না মাসির বাড়িতে। পাখির ধ্বজা নিয়ে চলে যাওয়া থেকে শুরু করে পুরীতে একের পর এত সব ভয়ংকর অঘটন কেন? কেন এত রোষ জগন্নাথের? এবার উল্টোরথে ভয়াবহ কী অপেক্ষা করছে?
উল্টোরথ আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে পালিত হয়। এটি রথযাত্রার পরে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রা তাঁদের মাসির বাড়ি গুন্ডিচাবাড়ি থেকে পুনরায় পুরীর মূল মন্দিরে ফিরে আসেন। এই উৎসবটি দেবার্থ বা দশাবতার নামেও পরিচিত। রথযাত্রার যে মাহাত্ম্য, উলটোরথেরও সেই মাহাত্ম্য। এদিন জগন্নাথদর্শন করলে, জগন্নাথের রথ বা রথের চাকা বা রথের দড়ি স্পর্শ করলে ভক্তদের বিপুল পুণ্য হয়।