Uttarkashi Cloudburst: শুধু আবহাওয়া পরিবর্তন-ই এর জন্য দায়ী? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন অন্য কথা...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয়। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরকাশীতে হড়পা বান। মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হড়পা বান নামে ক্ষীরগঙ্গা নদীতে। হড়পা বানের যে ভিডিয়ো সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে দৈত্যের মতো ছুটে আসেছে কাদামাটির স্রোত।
সেই কাদামাটির স্রোতের নীচে মুহূর্তে চাপা পড়ে যায় সবকিছু। কাদামাটির নীচে চাপা পড়ে যায় সেনাছাউনি। চাপা পড়ে যায় বহু হোটেল-হোম স্টে। উত্তরকাশীতে এই বিপর্যয়ের জেরে নিখোঁজ জওয়ান-সহ কমপক্ষে ১০৯।
লোকশুদ্ধু গাড়ি ভেসে যায় খেলনার মতো! ক্ষীরগঙ্গার ভয়ংকর হড়পা বানে কাদামাটির নীচে চলে গিয়েছে গোটা কল্প কেদার-ই। আদি শঙ্করাচার্যের স্মৃতিবিজড়িত কল্পকেদারের এতদিন শুধু চূড়া জেগেছিল। এবার তাও হারিয়ে গেল অতলে।
কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে উত্তরকাশী। কিন্তু কেন উত্তরাখণ্ডে বার বার এভাবে বিপর্যয়? শুধু কি আবহাওয়া পরিবর্তন-ই এর জন্য দায়ী? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন অন্য কথা...
বার বার এই বিপর্যয়ের জন্য বিশেষজ্ঞদের নিশানায় সরকার-প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের বিস্ফোরক অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার পরেও কোনও পরিকল্পনার কোনও বাস্তবায়ন নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরকাশীর বিপর্যয়ের জন্য শুধু জলবায়ু পরিবর্তনকে দোষারোপ করা আদতে প্রশাসনের ব্যর্থতাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। তাঁরা বলছেন, হিমালয় অঞ্চলের জন্য একটি সমন্বিত প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে!
বিশেষজ্ঞদের কথায়, উত্তরকাশী ও ধরালির মতো উঁচু এলাকার পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। সমগ্র হিমালয় অঞ্চলের জন্য একটি সমন্বিত পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়। কিন্তু তারপর আর সেটি বাস্তবায়িত হয়নি।
ভূ-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিমালয় অঞ্চলের জন্য প্রয়োজন একটি স্থিতিশীল সতর্কীকরণ ব্যবস্থা। ভূবিজ্ঞান মন্ত্রণালয় সম্প্রতি মৌসম মিশন চালু করেছে। সরকারের উচিত সেই মিশনের অধীনে শক্তিশালী পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা তৈরি করা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত এই পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা বা নওকাস্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ, বজ্রপাত, বৃষ্টি, জলাধার, নদীর স্রোত সব তথ্যের রাডার ইনপুটের সমন্বয়ের ভিত্তিতে ১ থেকে ৩ ঘণ্টা আগেই মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়া যাবে।
যার ফলে আগাম সতর্কতা জারি করা যাবে। আগাম সেই সতর্কতা দ্রুত মোবাইলের মাধ্যমে প্রচার করা যাবে। যারফলে রোখা যাবে প্রাণহানি। আগাম ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। রোখা যাবে ব্যাপক মাত্রায় ক্ষয়ক্ষতি।