সতর্ক প্রশাসন
গুলাব (Cyclone Gulab) স্থলভাগে প্রবেশ করে শক্তি হারিয়েছে। তবে বঙ্গোপসাগরে চোখরাঙাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। দক্ষিণবঙ্গে ফের দুর্যোগের সতর্কতা। আজ ও কাল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুত্-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আজ কলকাতায় মেঘলা আকাশ। কয়েক পশলা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪ ডিগ্রি। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৬ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে সামান্য।
মঙ্গলবার মেঘলা আকাশ। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দফায় দফায় বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রামে ।
বুধবারেও মেঘলা আকাশ। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায়। ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায়। বৃষ্টি চললেও বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে। ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
আগামী দু-তিন দিন গুজরাট, কঙ্কন, গোয়া, মধ্য মহারাষ্ট্র, মারাঠাওয়াড়া, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ এবং ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
দুর্যোগের পরিস্থিতি সামাল দিতে তৈরি প্রশাসন। এ নিয়ে দক্ষিণবঙ্গ ও উপকূলবর্তী জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব । পরিস্থিতি সামলাতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা, মহকুমা, পুরসভা ও ব্লক সদর দফতরে কন্ট্রোল রুম প্রস্তুত রয়েছে। প্রস্তুত টেলিকম দফতরও। নিচু এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌছতে ব্যবস্থা। ওষুধ, ওআরএস, অ্যান্টি ভেনোম, জেসিবি, গাছ কাটার যন্ত্র-সহ প্রস্তুতত কুইক রেসপন্স টিম। ত্রাণশিবিরে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের জন্য চিড়ে, গুড়, শুকনো খাবার মজুত রাখা রয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্কুল, কলেজ, আশ্রয়কেন্দ্রগুলি। উপযুক্ত স্যানিটাইজেশন, বেবি ফুড, পর্যাপ্ত পানীয় জল এবং জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপকূলবর্তী জেলায় মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি।