আবহাওয়ার এই বদলের কারণ পূবালী হাওয়া ও পশ্চিমী হাওয়ার সংঘাত। ঝাড়খন্ডে নিম্নচাপ অক্ষরেখা এবং সঙ্গে সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত। ফলে প্রচুর জলীয় বাষ্প আসবে বঙ্গোপসাগর থেকে। আজ থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি বাংলায়।
অয়ন ঘোষাল: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। এরকম এক অবস্থায় বৃষ্টি, ঝড়, শিলাবৃষ্টির কথা শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বুধ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই বঙ্গেই। বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
বুধ এবং বৃহস্পতিবার মূলত শিলা বৃষ্টি হবে। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই জায়গায় পরপর দুর্যোগের সম্ভাবনা কম। দক্ষিণবঙ্গে ১৬ মার্চ বজ্র বিদ্যুৎ- সহ বৃষ্টি হবে। ১৭ তারিখ দক্ষিণবঙ্গে কিছু জেলায় শিলা বৃষ্টি সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। ১৮ মার্চ, বৃষ্টি বাড়বে, ঝোড়ো হাওয়ার পরিমাণ কমবে।
নাওকাস্টে বজ্রপাতের ওয়ার্নিং দেওয়া হবে। মানুষকে সাবধানে থাকতে বলা হচ্ছে। ২০ কিলোমিটার এলাকায় বজ্র পাত হবে কিনা তা জানতে দামিনী অ্যাপে চোখ রাখার আর্জি। জমিতে নতুন আলু, আমের মুকুল, গরমের সবজির চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে কৃষকদের।
শেষ বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে হয়েছিল২৫ অক্টোবর ২০২২। কাল থেকে মেঘলা আকাশ। দিনের তাপমাত্রা কমবে। সই সঙ্গ গরমের তিব্রতা কমবে। কলকাতায় ১৬ ও ১৭ তারিখ বজ্রপাত ও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ১৮ ও ১৯ তারিখ বৃষ্টি বাড়বে। তবে দমকা হাওয়ার প্রবণতা কিছুটা কমবে।
আবহাওয়ার এই বদলের কারণ পূবালী হাওয়া ও পশ্চিমী হাওয়ার সংঘাত। ঝাড়খন্ডে নিম্নচাপ অক্ষরেখা এবং সঙ্গে সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত। ফলে প্রচুর জলীয় বাষ্প আসবে বঙ্গোপসাগর থেকে। আজ থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি বাংলায়।